বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : ১০হাজার ৩৭০হেক্টর জমিতে বোরোধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরোধান রোপণ শুরু হয়েছে।মাঠে কৃষকরা বোরোধানের চারা বীজতলা থেকে উত্তোলন, তা পরিবহন করে নিয়ে যাচ্ছে, সদ্য কাদা করা মাটিতে।

চারাগাছ রোপণের লক্ষ্যে,আধুনিক হালচাষের যন্ত্র দিয়ে জমিচাষ করে তা কর্দমাক্ত করাসহ বিদ্যুৎ বা ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি সেচ সব মিলিয়ে একেবারেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রচন্ড ঘনকুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করেই তারা জমিতে বোরোধান রোপণ শুরু করে দিয়েছেন। আগে ভাগেই বোরোধান রোপণ করতে পারলে শ্রমিক খরচ একটু কম পরবে।

তাছাড়া পুরোপুরি একসাথে রোপণ শুরু হয়ে গেলে একদিকে যেমন শ্রমিকের সংকট দেখা দিবে অন্যদিকে মূল্য বৃদ্ধি পাবে শ্রমিকদের। এরফলে বোরোধান চাষে খরচও বেড়ে যাবে। উপজেলার দিগদাইর ইউনিয়নের গ্রামের মনোরঞ্জন সাহা, পিযুষ রায় জানান, প্রতিবছর তারা ৫/৭ বিঘা জমিতে বোরোধানের আবাদ করি। শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিনি জমিতে আগাম বোরোধান রোপণ শুরু করে দিয়েছেন।

এ পর্যন্ত দু-বিঘা জমিতে বোরোধান রোপণ শেষ হয়েছে তাদের। এদিকে চরাঞ্চলের জমিগুলোতে কৃষকরা মরিচ,গম ও ভূট্টা জাতীয় ফসল তোলার পর পানি সেচের মাধ্যমে বোরোধান রোপণ করবেন।

সোনাতলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর তথ্য অনুযায়ী,এ বছর বোরোধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০হাজার ৩৭০হেক্টর। এ পর্যন্ত ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরোধান রোপন হয়েছে। গত বছর ১০হাজার ২৪০হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১০হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরোধানের আবাদ হয়েছিল। এ বছর কৃষকরা ব্রি-ধান ২৮, ২৯, ১০০, ৮৮, ৮৯, ১০০, ১০২, ১০৫, ১০৪, ১০৮ সহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড জাতীয় বোরধান কৃষকরা চাষ শুরু করেছেন।

বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সোনাতলা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার উত্তম কুমার সাহা বলেন, কৃষকদের রোপনকৃত বোরোধান চাষের বিষয় মাথায় রেখে এ উপজেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে যেহেতু অফ পিক আওয়ার রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত, এ সময় বিদ্যুৎ এর ভোল্টেজ বেশি থাকে তাই কৃষকদের এ সময়ে জমিতে পানি সেচ দেওয়ার পরামর্শ তার।

(বিএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫)