স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্র্রতি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বিপণিবিতান মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে দুই ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনায় সানজিদুল হাসান ইমনসহ একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে। যদিও মামলার অন্যতম আসামি ইমনের মা ডা. সুলতানা জাহান দাবি করেছেন, তার ছেলে এ ঘটনায় জড়িত নন। ইমন বর্তমানে বিদেশে আছেন, তাকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল ও তার ভাই ওয়াহিদুল হাসান দিপু তাদের সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, মামলার বাদী ওয়াহিদুল হাসান দীপু শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের আপন বড় ভাই। গত ৫ আগস্টের পর বসিলায় জোড়া খুনের ঘটনা তিনি নিজের হাতে ঘটিয়েছেন বলে ওই মামলার তদন্ত সূত্রে আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ১ নম্বর আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে মোহাম্মদপুরের সাবেক ৪৬ ও বর্তমান ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কমিশনার রাজু হত্যার ২ নম্বর আসামি এই ওয়াহিদুল হাসান দীপু।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার সভাপতি ওয়াহিদুল হাসান দিপু বলেন, হেলাল আমার ছোট ভাই হলেও আমি তার পরিচয় দিয়ে কখনোই ব্যবসা করি না। মার্কেটের পার্কিং দখল, অবৈধ দোকান বসানোর চেষ্টা, খাবার পানি, ইন্টারনেট ও ময়লা অপসারণের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল ইমনের লোকজন।

এর আগে, গত ১০ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে এলিফ্যান্ট রোডের মালটিপ্ল্যান সেন্টারের সামনের রাস্তায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, এক মাস আগে ওখানে একটি নির্বাচন হয়। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একটি বিরোধ তাদের মধ্যে আগে থেকেই ছিল। আমাদের ধারণা নির্বাচনের কারণে ওই ঘটনা ঘটতে পারে। অথবা অন্য কোনও কারণেও হতে পারে। এছাড়া আসামিদের না ধরা পর্যন্ত মূল বিষয়টা এখনই বলা যাবে না। আমরা চেষ্টা করছি।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মালটিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে অবস্থান করছিলেন কয়েকজন যুবক। সবার পরনে শীতের পোশাক ও মুখে মাস্ক ছিল। ওই যুবকরা হঠাৎ করেই রামদা ও চাপাতি বের করে একটি গাড়িতে হামলা চালায়। এছাড়া গাড়ির বাইরে থাকা আরেকজনকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে।

ব্যবসায়ীদের ধারণা, মার্কেটে আধিপত্য বিস্তার, দখল ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ প্রসঙ্গে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসেন উদ্দিন বলেন, কে বা কারা কী কারণে হামলা করেছে সেটি জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫)