স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে প্রতি বছর নতুন করে ৫৩ জন রোগী ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। আজ শনিবার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশে ক্যানসারের বোঝা: জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি’ শীর্ষক এক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেওয়া হয়।

প্রধান গবেষক পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খালেকুজ্জামান বলেন, দুই লাখ মানুষের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। বাংলাদেশে ৩৮ ধরণের ক্যানসারের রোগী পাওয়া গেছে। প্রতি লাখে ১০৬ জন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। ৯৩ শতাংশ রোগীর বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছর।

তিনি আরও বলেন, ক্যানসার রোগীদের মধ্যে দুই দশমিক চার শতাংশ শিশু রয়েছে। পাঁচ দশমিক ১ শতাংশ রোগীর বয়স ৭৫ বছরের বেশি।

ড. খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে পাঁচটি প্রধান ক্যানসার রয়েছে। সেগুলো হলো স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালী এবং জরায়ু মুখের ক্যানসার। পুরুষদের পাঁচটি প্রধান ক্যানসার হলো শ্বাসনালী, পাকস্থলী, ফুসফুস, মুখ ও খাদ্যনালী। নারীদের পাঁচটি প্রধান ক্যানসার হলো স্তন, জরায়ুমুখ, মুখ, থাইরয়েড এবং ওভারি।

৪৬ শতাংশ রোগীর ক্যানসারের সঙ্গে তামাক সেবনের সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ কমবাইন্ড চিকিৎসা নিয়েছে এবং ৭ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী কোনো চিকিৎসাই নেয়নি।

খালেকুজ্জামান আরও বলেন, প্রতি বছর নতুন করে লাখে ৫৩ জন রোগী ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ফুসফুস, লিভার ও শ্বাসনালির ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা বেশি।

তিনি জানান, বাংলাদেশে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি বা নিবন্ধন (পিবিসিআর) না থাকায় প্রতিবেশী দেশগুলোর তথ্য ব্যবহার করে ক্যানসারের পরিস্থিতি অনুমান করতে হয়। এরফলে বাংলাদেশে ক্যানসারের সঠিক পরিস্থিতি জানার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা আছে। তাই জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বা বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার নিবন্ধন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্যানসারের পরিস্থিতি নির্ণয় করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। এজন্যই এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫)