কাঁচা মরিচের কেজি ১৫ টাকা, লোকসানে চাষি
বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : যদিও এক সময় মরিচ চাষের বিখ্যাত এলাকাগুলোর মধ্যে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার নাম বরাবরই শোনা যেতো। তবে কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে গতবারের চেয়ে এবার কিছুটা কমেছে এই উপজেলায় মরিচের চাষ। এবছর মরিচের বাম্পার ফলন হলেও বাজার দর কম হওয়ায় চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে সেই সাথে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক।
কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, যে পরিমাণ শ্রম ও অর্থ খরচ করে মরিচের চাষ করেছি তার অর্ধেক টাকাও ঘরে উঠছে না। তারা আরো বলেন, প্রতি কাঠায় দু থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ করে আবাদ করেছি। কিন্তু মরিচের বাম্পার ফলন হলেও বাজার দর কমতে কমতে শূন্যের কোঠায় আসায় মনের রাগে মরিচ সহ গাছ তুলে ফেলে দিচ্ছি।
কালাইহাটা গ্ৰামের পরিমল দাস বলেন, আমি বেশ কিছু জমিতে মরিচের চাষ করেছি। কিন্তু মরিচের দাম একেবারেই কম, যে কারণে আমি মরিচ সহ গাছ তুলে ফেলে দিয়ে এ জমিতে বোরো ধানের আবাদ করবো।
তিনি আরো বলেন, এই চার কাঠা জমির মরিচ চাষে খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। বেশ কয়েকবার মরিচ তুলে বিক্রি করেছি তবে গত কাল এবং আজকের তোলা কাঁচা মরিচ পাইকার প্রতিকেজি ১৫ টাকায় কিনতে চাচ্ছেন। মরিচ বিক্রি করে এ যাবত ১৫শ টাকা ঘরে তুলেছি কিন্তু ৩ হাজার ৫শ টাকা ঘাটতি রয়েই গেল। যে কারণে আর মরিচের গাছ রেখে লাভ তো নেই লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে তুলে ফেলছি। এমন চিত্র চোখে পড়লো অনেক জমিতে।
চুকাইনগরের আফজাল হোসেন নামের একজন জানান, গত বছর মরিচের আবাদ করে প্রতি ৬০/৭০ হাজার খরচ বাদে ঘরে উঠেছিল এবার মরিচের বাজার খারাপ হওয়ার কারণে লোকসানের বোঝা ঘাড়ে পড়বে। এসব বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে ফোন করেও কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
(বিএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫)