তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এরমধ্যে ৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো- কৃষি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ইয়াজদানি আলী, একই বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র মাহাদি হাসান তাহমিদ, এসিসিই বিভাগের সেলিম রেজা, একই বিভাগের আব্দুল্লাহ আল খালিদ ও আসাদুল্লাহ গালিব।

খবর পেয়ে আহতদের সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে শতাধিক শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় সামনে জড়ো হয়। এ সময় তারা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। রাতে মামলা দায়ের ও ২ জনকে গ্রেফতারের পর শিক্ষার্থীরা থানার সামনে থেকে তাদের অবস্থান প্রত্যাহার করে নেয়।

এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সেলিম রেজা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মামলাটি দায়ের করেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইফতি মাহমুদ ও তার পিতা কবির মাহমুদকে রাতেই গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আহত শিক্ষার্থী মাহাদি হাসান তাহমিদ জানায়, তারা শহরের গোপালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (নতুন স্কুল) রোড়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে মেস করে বসবাস করে আসছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সাথে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ কারণে তারা সন্ত্রাসীদের টার্গেটে পরিনত হন। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মির সাজেদুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে ছাত্রদের পক্ষ থেকে সেলিম রেজা নামে এক ছাত্র বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত ইফতি মাহমুদ ও তার পিতা কবির মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০২৫)