আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : দীর্ঘ ২৩ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে দেখেন তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো অর্থ নেই। স্ত্রী-সন্তান, মেয়ে জামাতা আর রূপালী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার যোগসাজসে প্রবাসীর স্বাক্ষর জাল করে ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাত করা হয়েছে।

নিরুপায় হয়ে অবশেষে ওই আটজনের বিরুদ্ধে টাকা ফেরত পেতে বরিশাল অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন সৌদি প্রবাসী সেলিম খান। তার বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার আস্তাকাঠী গ্রামে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রবাসী সেলিম খান বলেন, আমার দায়ের করা মামলায় স্ত্রী নাসরিন আক্তার, ছেলে নাজমুল খান, মেয়ে জামাতা আমান উল্লাহ, রূপালী ব্যাংকের সদর রোড শাখার ম্যানেজার, সাগরদী বাজার শাখার ম্যানেজার, ক্যাশ অফিসার, নথুল্লাবাদ শাখার ম্যানেজার ও ক্যাশ অফিসারকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের ক্রাইম ইনভিষ্টেগেশন বিভাগকে (সিআইডি) আদেশ দিয়েছেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারি মিজানুর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, সেলিম খান দীর্ঘ ২৩ বছর সৌদি আরবে প্রবাস জীবন কাটিয়ে গত বছরের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন। পরবর্তীতে তিনি (সেলিম) রূপালী ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্টে কোন টাকা নেই। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উল্লেখিত আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে সেলিম খানের স্বাক্ষর জাল করে তিনটি চেকের মাধ্যমে ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাত করেছেন।

প্রবাসী সেলিম খান বলেন, এ ঘটনায় জানতে পেরে গত ১৩ জানুয়ারি রূপালী ব্যাংকের সাগরদি ও নথুল্লাবাদ শাখায় গিয়ে ব্যাংকের নিয়মবহির্ভূতভাবে স্ত্রী, সন্তান ও মেয়ে জামাতাকে টাকা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করার পর তার সাথে খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য গত ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশাল শাখার নির্বাহী পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ৩০, ২০২৫)