সাতক্ষীরায় প্রাক প্রাথমিক ছাত্রীকে ধর্ষণ
ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বিস্কুট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে হাত ও পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিথা পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিচারিক হাকিম রাফিয়া সুলতানার কাছে ২২ ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বালিথা পূর্বপাড়ার আনারউদ্দিন সরদারের ছেলে ও বালুইগাছা মসজিদের ইমাম জিফুলবাড়িয়া কামিল মাদ্রাসার প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লা তার প্রতিবেশী ভাতিজা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক ছাত্রীকে বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার মুখের মধ্যে কাপড় গুজে হাত ও পা বেঁধে ধর্ষণ করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই মেয়েকে আব্দুল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন মেয়েটির মা বাদি হয়ে আব্দুল্লাহ’র নাম উল্লেখ করে সোমবার থানায় ২০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিচারিক হাকিম রাফিয়া সুলতানার কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল্লার বাবা আনারউদ্দিন সরদার জানান, তার বোন সুফিয়া খাতুনের কাছ থেকে তিনি দুই বছর আগে দুই বিঘা জমি কিনলেও তা বর্তমানে ওই মেয়ের বাবার দখলে। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘাদন ধরে বিরোধ থাকায় পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০২৫)