আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : মহানগর ও জেলা বিএনপির অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সায়েম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার নিজ বাসা থেকে পৃথক দুটি মামলার এজাহারভূক্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রদল নেতাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিষয়টি আজ মঙ্গলবার সকালে সর্বত্র ছড়িয়ে পরলে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, নথুল্লাবাদ এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে মামলায় সায়েম হোসেনকে আসামি করেছেন।

তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বরিশালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির অফিসে অগ্নিসংযোগ, শোক র‌্যালিতে হামলাসহ হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার। ওই মামলায় সায়েমকে আসামি করা হয়। বিএনপি নেতাদের দায়ের করা দুটি মামলা নিয়ে শুরু থেকেই বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে।

তবে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, মামলা যখন হয়েছে, তখন সব আসামিতো আমি দেইনি। দলের নেতাকর্মীরা নাম দিয়েছে। দলের নেতাকর্মীর নাম আমাদের মামলায় আসার সুযোগ নেই। যেহেতু এসেছে তাকে (সায়েম) জেল থেকে বের করার দায়িত্ব আমাদের।

এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করীম রনি বলেন, মহানগর ছাত্রদলের কমিটি অনেক বড়। সায়েম নামের একজন সহ-সভাপতি এ কমিটিতে রয়েছেন। তবে যিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি এ সায়েম কিনা তা দেখে বলা যাবে। মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক তসলিম বলেন, কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে সায়েম হোসেন নামের একজন আছেন। তাকে গ্রেপ্তারের খবরে দলের অভ্যন্তরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দিবাগত রাতে মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি সায়েম হোসেনকে নিজবাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে পরেরদিন আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাধ্যমে মিডিয়াপাড়ায় খবর ছড়িয়ে পরে।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০২৫)