সোনাতলায় আলুর দাম তলানিতে

বিকাশ স্বর্নকার, সোনাতলা : বাড়তি লাভের আশায় বগুড়ার সোনাতলায় এবার আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছিল কৃষক। তবে গত দুয়েক আগে থেকেই আলুর বাড়তি লাভে কৃষক যেমন লাভবান হয়েছে তার চেয়েও বেশি লাভবান হয়েছে মহাজন কারবারিরা।
এবার ইতিমধ্যেই আলুর বাজার নিম্নমুখী হওয়ায় লাভ খরচের হিসাব নিয়ে চিন্তিত এ অঞ্চলের কৃষক। এখন তারা চোখে মুখে ছানাবড়া দেখছে কৃষকের ভাবনা কিভাবে অন্তত খরচের টাকা ঘরে তোলা যায়। কৃষক জানিয়েছেন,এবার আলুর বীজ কিনতে প্রতি কেজিতে গুনতে হয়েছিল ৭৫/৮০ টাকা।
এরপর হালচাষ,রাসায়নিক সার সব মিলিয়ে শতকে ৩০০টাকা খরচ হয়েছে। এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন, গতবার এ উপজেলার কৃষক ১হাজার ১২০হেক্টর ফসলি জমিতে আলু রোপণ করেছিল তবে আলুর বাম্পার ফলন ও বাজার দর উর্দ্ধমুখী হওয়ার কারণে এবার ১হাজার ২৫০হেক্টর জমিতে আলু রোপণ করে কৃষক। এরফলে এবার ১শ ৩০হেক্টর উদ্বৃত্ত জমিতে আলু রোপণ করেছিল কৃষক।
যদিও এবার আলুর বাজার দর কমিয়ে যাওয়ার কারণে কেউবা শ্রমিক দিয়ে আবার অনেক কৃষক নিজেরা আলু তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করছে। তাদের দাবি এতে করে হয়তবা লাভের মুখ না দেখা গেলেও অন্তত খরচটা উঠে আসবে।
বালুয়া ইউনিয়নের রশিদপুর গ্ৰামের মোকছেদ আলির ছেলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ৪৮শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছি। ৭৫টাকা কেজিতে আলু কিনে হালচাষ রাসায়নিক সার সব মিলিয়ে প্রতি শতকে ৩০০টাকার বেশি খরচ হয়েছে। তবে এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলু উঠালাম। পাইকার এসে প্রতিমন আলু ৭৫০/৮০০ টাকায় কিনতে চাচ্ছেন। এতে খরচ তো উঠবেই না বরং চরম লোকসানের বোঝা ঘাড়ে পড়বে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে তবে আমাদের মাঠকর্মীরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের আলুর ভালো ফলনে উদ্বুদ্ধ করন সহ পরামর্শ প্রদান করেছেন। এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১হাজার ২৫০হেক্টর জমি।
(বিএস/এএস/জানুয়ারি ২৬, ২০২৫)