মহম্মদপুর প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের পাড়ুয়ারকুল এলাকায় ২শত পাওনা টাকা নিয়ে মামা-ভাগিনার দু-গ্রুপের সংঘর্ষে প্রায় ৪০ বাড়িঘর ভাঙচুর উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। গত সোমবার ফজরের নামাজের পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পাড়ুয়ারকুল এলাকার ফুলমিয়ার ছেলে রাসেল আপন চাচা লালমিয়ার ছেলে শাহীনের নিকট-২শত টাকা দেনা ছিল।গত রবিবার সন্ধ্যায় পাড়ুয়ারকুল স্থানীয় শিবুর মোড়ে শাহীন রাসেলকে দেখতে পেয়ে টাকা ফেরৎ দিতে বলে। টাকা না দিতে পারায় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরা দুজন স্থানীয়, বাবুখালী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল সমর্থক ও সেকেন্দার মোল্যার সমর্থক। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার ভোরে সেকেন্দার ও তার আপন ভাগিনা ইসমাইল সমর্থিতরা ঢাল-সরকি রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ইসমাইল-সহ তার সমর্থকদের ৪০টি বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ইকরামুল (৪০), মঞ্জুর (৩০),জয়নাল (৪৫), রোকন (৪৫), জাহাঙ্গীর (৫০), বিষু শেখ (৬০) ও জাকীর মোল্যা (৪০) সহ অন্তত ১০ ব্যাক্তি আহত হন।

আহতদের মহম্মদপুর ও মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে মহম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাবুখালী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বলেন, এলাকায় তার মামা সেকেন্দারের সমর্থকদের সাথে গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জেরে পাওনা টাকা নিয়ে আগের দিনের দুজনের দুই সমর্থক রাসেল ও শাহীনের মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোমবার সকালে সেকেন্দারের লোকজন প্রথমে তার বাড়িতে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে।

সেকেন্দারের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুরসহ কয়েকলক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে সেকেন্দার মোল্যার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মহম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে পুণরায় সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(বিএস/এসপি/জানুয়ারি ২১, ২০২৫)