তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে খালের সেতু ভেঙ্গে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। ২০ দিন আগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার লেবুতলা-ডুমরিয়া বাজার সড়কের চিথলিয়া গ্রামের কাটা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে। এতে সেতুর পাশে দিয়ে স্থাপিত পানি সরবরাহ লাইন ঝঁকির মধ্যে পড়েছে। তারপর থেকে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন, মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। ৭ দিন আগে স্থানীয়রা খালের স্লুইচ গেটের ওপর কাঠ বিছিয়ে কোন রকমে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে।তবে ভারী মালামাল ও যানবাহন চলাচল করতে পারছেন না। গ্রামবাসী দ্রুত সেতুটি মেরামত করে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর লেবুতলা-ডুমরিয়া বাজার সড়কের শৈলদহ নদী ও কাটা খালের সংযোগ স্থলের সেতুটি ভেঙ্গে যায়। শৈলদহ নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে সেতুটি ভেঙ্গে খালের মধ্যে পড়ে গেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষনিকভাবে জানিয়েছি। বিপল্প পথে চলাচলের ব্যবস্থা করতে আমরা গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) এলজিইডি’র গোপালগঞ্জের নির্বার্হী প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছি। চিঠিতে কিছু কাজ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে আমরা ওই সেতুর বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারব।

চিথলিয়া গ্রামের গৃহবধূ সুবর্ণা মজুমদার বলেন, ডুমরিয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এ এলাকার মধ্যে ১টি হাই স্কুল, ২টি প্রইমারী স্কুল, একটি বাজার, পানির ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ধর্মীয় উপসনালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হ্যাপি নিউ ইয়ারের ২ দিন আগে এ সড়কের কাটাখালের সেতুটি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ভেঙ্গে যায়। তারপর থেকে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেতুর পাশে স্থাপিত ইউনিয়ন পানি সরবরাহ পাইপ লাইনও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। গত ১০ জানুয়ারী স্থানীয়রা ওই খালের স্লুইচ গেটের ওপর কাঠ বিছিয়ে কোন রকম যোগাযোগ স্থাপন করেছে। তাও অন্তত ৫০০ মিটার পথ ঘুরে কাচা রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এমনকি অনেক পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। আমরা সেতু সংস্কার করে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটাগাতী সরদারপাড়া গ্রামের গৃহবধূ সুখি বেগম বলেন, নিয়মিত আমি এ পথে যাতায়াত করি। সেতু ভেঙ্গে গেছে। তাই আমাদের অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে সময় ক্ষেপন হচ্ছে বেশি। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।

ভ্যান চালক ইয়াকুব তালুকদার বলেন, সেতু ভেঙে ১০ দিনের মতো এখানে গাড়ি চালাতে পারনি। পরে স্লুইচ গেটে কাঠ বিছিয়ে দিয়ে স্থানীয়রা যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে। এটি স্থায়ী সমাধান নয়। আমরা চাই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক।

(টি৫বি/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২৫)