বশেমুরবিপ্রবি’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ দুদকের
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) অভিযান চালিয়ে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সত্যতা পেয়ে মামলার সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
টেন্ডার বানিজ্য, ভর্তিতে অনিয়ম, চাকরির বয়স অতিবাহিত হওয়ার পর নিয়োগ, নিম্মমানের পেপারে সার্টিফিকেট প্রদান, আসবাবপত্র ক্রয়ে অনিয়ম, কোটি টাকা ব্যায়ে দুইটি পানি শোধনাগারে নির্মাণে অনিয়ম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ না করে টাকা উত্তলনসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদদক।
গত রবিবার ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সুপারিশ করেছে দুদক জেলা কার্যালয়ের মোঃ মশিউর রহমান।
দুদকের গোপালগঞ্জের সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( বশেমুরবিপ্রবি) আসবাবপত্র ক্রয়ে অনিয়ম দূর্নীতি , চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত বেঞ্চসহ নিম্নমানের মালামাল ক্রয়, কোটি টাকা ব্যায়ে দুইটি পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হলেও দীর্ঘদিন ফেলা রাখা হয়েছে। বয়স ৩২ বছরের উপরে হলেও নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করে শারমিন চৌধুরীসহ কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া,কফি হাউজ ও লেকপাড়ের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ না করে বিল উত্তলন, লাইব্রেরী জন্য যে বিদেশি বই কেনা হয়েছে তা আসল বই নয়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি , ৮ বছর আগে শুরু হলেও অধ্যবদি শেষ হয়নি মূল গেইট নির্মাণের কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) তুহিন মাহমুদ সিন্ডিকেট করে কেনাকাটায় অনিয়ম। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ টি কম্পিউটার চুরির মাস্টার মাইন্ড। এছাড়া কর্মচারী ও শিক্ষগণ চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত ভুয়া বিল-ভাউচার প্রস্তুত, কেনা-কাটা ও টেন্ডার, নিয়োগ বাণিজ্য, উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. মশিউর রহমান নেতৃত্বে ৫ দস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট দল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালান। দলটির সদস্যরা বিভিন্ন নথি যাচাই, কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে দুদক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান বলেন, অভিযান পরিচালনার পর আমার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কয়েকটি সুপারিশ করেছি । সেগুলো হলো, প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে প্রকাশ্য অনুসন্ধান,শারমিন চৌধুরী (সেকশন অফিসার) নিয়োগ কমিটির ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর সুপারিশ, তুহিন মাহমুদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশের সুপারিশও রয়েছে ।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শীতকালীন ছুটি চলছে। খোলার পর অন্যান্য বিষয়ে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
(এমএস/এএস/জানুয়ারি ১৬, ২০২৫)