তপু ঘোষাল, সাভার : ঢাকা জেলার সাভারে বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে আগুনে পুড়ে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় যানবাহন দুটির চালকদের গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বাস চালক ও গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালককে‌ গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দুইটার দিকে রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি অ্যাম্বুলেন্সকে যাত্রীবাহী দুটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারী, শিশুসহ চারজন নিহত ও আহত হন অন্তত সাতজন।

গ্রেফতাররা হলেন- অ্যাম্বুলেন্স চালক জাহিদ হাসান ও শ্যামলী পরিবহনের বাস চালক জহিরুল ইসলাম। এর মধ্যে জাহিদ হাসান টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার সুতী লাংগল জোরা গ্ৰামের আয়নাল হকের ছেলে। অন্যদিকে শ্যামলী পরিবহনের বাস চালক দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার চাওলিয়া গ্ৰখমের মৃত গোলাম সরোয়ারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে গত বুধবার গভীর রাতে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স। পেছন থেকে ঝুমুর পরিবহন ও শ্যামলী পরিবহনের দুটি বাস অ্যাম্বুলেন্সকে পর পর ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ভাবনদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন। তার ছেলে ফুয়াদ সিদ্দিক, স্ত্রী সোনিয়া আক্তার ও স্ত্রীর বড়বোন মাহফুজা আক্তার শিলা।

এ ঘটনায় সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রঞ্জু বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারদের সাথে কথা বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা- ৩ চালকই রাস্তায় প্রতিযোগিতা করছিল কে আগে যাবে। পরে অ্যাম্বুলেন্স সামনে চলে গেলে অতিরিক্ত গতির কারণে পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দেয়। পরে অ্যাম্বুলেন্স সড়কের ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে যায়।

তিনি বলেন, সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(টিজি/এএস/জানুয়ারি ১২, ২০২৫)