সাংবাদিককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা, নেই গ্রেফতার
রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলে সাংবাদিক সৈয়দ সজিবুর রহমান সজিবকে (৩৫) কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে পুলিশ সাংবাদিক সজিবের ওপর হামলার ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারে নাই।
সজিব সময় টেলিভিশনের নড়াইল প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তিনি লোহাগড়া উপজেলার যোগিয়া গ্রামের মৃত সৈয়দ হান্নানের ছেলে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে নড়াইল সদর থানায় এ মামলা করেন আহত সাংবাদিক সজিব নিজেই। মামলায় অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ শনিবার নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি মো.সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে এগারোটার দিকে লোহাগড়া উপজেলা থেকে নড়াইল শহরে নিজ বাসার দিকে ফিরছিলেন তিনি৷ রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে শহরের শেখ রাসেল সেতুর মাঝ বরাবর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জন তার রাস্তা অবরোধ করে। তাদের একজনের শরীরে পুলিশের লোগো সম্বলিত রিফলেকটিং ভেস্ট পরা ছিল। অন্য একজন নিজেকে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবির) উপ পরিদর্শক (এসআই) মুরাদ বলে দাবি করে।
এসময় তারা সজিবের পরিচয় জানতে চান। নিজের পরিচয় দিলে তখন তারা সজীবের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে দু’জন হামলাকারী সুপরিকল্পিতভাবে সজীবকে হত্যার উদ্দেশে ধারাল চাকু দিয়ে তার পেটে, পায়ের হাঁটুর উপরিভাগে, একই পায়ের গোড়ালির উপরে, বাম হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে মোটরসাইকেলযোগে মালিবাগের দিকে পালিয়ে যান। এসময় সেতুর ওপর বেশ কয়েকজন মানুষ ছিল। পরে সজীবের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এবং নড়াইল সদর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেদিন রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(আরএম/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০২৫)