আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : বর্তমান সময়ে রোগব্যাধি যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। এ সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবসা এখন ব্যাপক জমজমাট। অনেক সময় সামান্য রোগ নিয়ে গেলেও অধিকাংশ চিকিৎসক রোগীদের নিয়ে টেস্ট বাণিজ্যে মেতে ওঠেন।

অভিযোগ রয়েছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে সরকারি হাসপাতালে গেলেও টেস্ট লিখে দিচ্ছেন কতিপয় চিকিৎসক। যে কারনে চিকিৎসা ব্যয়ের ক্রমবর্ধমান চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ। তবে সাধারণ রোগ নিয়ে যাতে চিকিৎসকের কাছে যেতে না হয়, সেজন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন প্রচারবিমুখ এক চিকিৎসক। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষের জন্য আশার আলো হয়ে উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই চিকিৎসকের নাম ডা. মো. মাহাবুব আলম মির্জা। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেজিষ্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সম্পূর্ণ প্রচারবিমুখ মাহাবুব আলম মির্জা সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি “স্বাস্থ্য গ্রুপ গৌরনদী-আগৈলঝাড়া” নামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সদস্যদের প্রতিনিয়ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে খোলা ওই গ্রুপে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার প্রায় আটশ’ সদস্য যুক্ত রয়েছেন। যাদেরকে বিভিন্ন রোগ, রোগের ধরন ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে।

গ্রুপের একাধিক সদস্যরা জানিয়েছেন, সাধারণ রোগ সম্পর্কে গ্রুপে লিখলেই বিনামূল্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে। এতে একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে, অপরদিকে সময় বেঁচে যাচ্ছে। অন্যান্য চিকিৎসকরা যদি এভাবে গ্রুপ খুলে রোগীদের সচেতনতার পাশাপাশি পরামর্শ সেবা দিতো তাহলে সাধারণ মানুষ আরো উপকৃত হতো।

এ বিষয়ে গ্রুপের এডমিন ডা. মো. মাহাবুব আলম মির্জা বলেন, গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন এ অঞ্চলের রোগী তথা বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষের সাথে একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যে কারনে অনেক সময় বিভিন্ন পরিচিতজন স্বাস্থ্যসেবা পেতে ফোন করেন। অনেক সময় ব্যস্ততার কারনে ফোন রিসিভ করা যায়না।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সেবার তথ্য সহজ করতে এবং রোগীদের দুর্ভোগ কমাতে হোয়াটসঅ্যাপে “স্বাস্থ্য গ্রুপ গৌরনদী-আগৈলঝাড়া” খোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষুদ্রজ্ঞানগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে পরলে অসুস্থতা প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০২৫)