স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে টানা দেড় মাস ধরে  অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় হুমকির মুখে পাশের আবাদি জমি।

বৃহস্পতিবার ৯ (জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার রুপপাত ইউনিয়নের কুমরাইল গ্রামের আহাদ শেখের ফসিল জমি কেটে বালু বিক্রয়ের সংবাদ পেয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাঠের মধ্য থেকে অবৈধ ইন্জিন চালিত ড্রেজার দিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব বালু বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রয়ের সত্যতাও পাওয়া গিয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জমির মালিক সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, এখান থেকে ১মাস যাবত ড্রেজার দিয়ে বালু কাটছে। এর আগে অনেক অভিযোগ দেবার পরে উপজেলা প্রশাসন এসে ৫টা পাইপ ভেঙ্গে আবার চলে যায় কিন্তু ড্রেজার ব্যবসায়ীকে জরিমানা অথবা ড্রেজার অপসারণ করেনা। এতে করে আমাদের পাশের ফসলি জমি ভেঙে পড়তে পারে যে কোন সময়। জমির অন্যান্য মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হল কি না হল সেটা দেখার কেউ নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী জানান, আমরা ইউএনও সাহেব কে জানিয়েছিলাম সে এসে এই ড্রেজার বন্ধ করে দিয়ে গেলেও অপসারন করে যাননী তিনি চলে যাবার পরেই আবার পুনরায় আবার এই ড্রেজার দিয়ে বালু কাটছে। আমরা কিছু ভয়ে বলিনা কারণ আলমগীর বিএনপির এক বড় নেতার পরিচয় দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। তবে ওই বিএনপি নেতা কে এমন প্রশ্নের উত্তর স্থানীয় কেউ ভয়ে দিতে চাইনি।

জমির মালিক আহাদ শেখের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ড্রেজার ব্যবসায়ী আলমঙ্গীরের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার আরও ২/৩ দিন কাজ আছে , বাকী কাজ শেষ করে আমি ড্রেজার নিয়ে চলে যাবো।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হাসান চৌধুরী জানান, আমরা একবার বন্ধ করে দিয়ে এসেছি সে যে আবার ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন সে তথ্য আমার কাছে নেই এখন জানলাম এসিল্যান্ড কে পাঠবো।

(টিইউ/এএস/ জানুয়ারি ০৯, ২০২৫)