স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
কেন্দুয়া প্রতিনিধি : স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে ধর্ষনের অভিযোগে ৮ জানুয়ারি বুধবার রাতে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোনী) ৯ (১) ২০০০ ধারা তৎসহ ৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারা মোতাবেক এ মামলা দায়ের করা হয়। কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের চিটুয়া নওপাড়া গ্রামের মৃত মন্তু মিয়ার কন্যা পারভীন আক্তার বাদী হয়ে একই গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। গত ৪ জানুয়ারি কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন পারভীন আক্তার।
অভিযোগে তিনি বলেন, গত ২০ অক্টোবর রাত অনুমান সাড়ে ১১ টার দিকে ধারালো (কিরিছ) অস্ত্রের মুখে ঘরে প্রবেশ করে তোফাজ্জল ঘরের সকলকে জিম্মি করে তাকে ধর্ষন করে। লোক লজ্জার ভয়ে তিনি ঘটনাটি প্রথমে কাউকেই জানাননি। তিন চার দিন পর গ্রাম্য মাতাব্বর রফিকুল ইসলাম ভুট্টু সহ অন্যান্যদের নিকট জানালে তারা এ ঘটনার মিমাংসার প্রস্তাব দেন এবং বিষয়ে বিয়ের আশ^াস দিয়ে এক মাস সময় চায়
। পারভীন বলেন, আমার তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী নেই তাই বিষয়টি মেনে নিয়ে এক মাস অপেক্ষা করেছি। কিন্তু তোফাজ্জল আমাকে ধর্ষনের পর মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে একই গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে দেলোয়ারের সাথে বিয়ে হয় পারভীনের। তাদের তিনটি কন্যা সন্তানও আছে। কিন্তু স্বামী স্ত্রীতে বনিবনা না হওয়ায় সংসার ভেঙ্গে যায়। স্ত্রী তালাক দেওয়ার পর দেলোয়ার চলে যান বিদেশ। এ সুযোগে গত কিছুদিন আগ থেকে তোফাজ্জল পারভীনের বাড়িতে আনাগোনা করতে থাকে।
পারভীন জানান, সরলতার সুযোগে ২০ অক্টোবর সুযোগ বুঝে ধারালো অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষন করে তোফাজ্জল। এ ব্যাপারে তোফাজ্জলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও থাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে রফিকুল ইসলাম ভুট্টু বলেন, পারভীন এবং তোফাজ্জল একে ওপরের আত্মীয়। পারভীন চায় তোফাজ্জলকে বিয়ে করতে কিন্তু তোফাজ্জল তিন কন্যা সন্তানের মাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা তাও জানি না। তাই আমি বলেছিলাম নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিমাংসা হওয়ার জন্য।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দুয়া থানার পেমই তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ বাবুল মিয়া বলেন, পারভীনের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন আছে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং গ্রামের বিভিন্ন লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সেই সাথে আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(এসবি/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০২৫)