গড়াই নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে পাড়ের মানুষ
একে আজাদ, রাজবাড়ী : গড়াই নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষগুলো। এতে একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে বালু উত্তোলন করে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্তূপ করে রাখায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভের। ঘটনাটি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এলাকার গড়াই নদীতে।
স্থানীয়রা জানান, বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের গত দু’মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের আশংকায় রয়েছেন তারা বাড়বে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোন তৎপরতা নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ, ভিটা ছাড়া কোন জমিজমা নেই। যেভাবে বালু তোলা হচ্ছে। তাতে নদী ভাঙন বাড়বে। এমন একটি জায়গায় বালু উত্তোলন করছে, যেখানে ঘনবসতি মানুষের বাস। একটু রোদ হলেই এ বালু বাতাসের সাথে উড়ে এসে খাবারের মধ্যে পড়ে। বাচ্চাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও হচ্ছে।
তারা বলেন, সরকার বালু উত্তোলন বন্ধের পদক্ষেপ নিলে আমাদের জন্য ভালো হতো। কিন্তু প্রভাব দেখিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নারুয়া খেয়াঘাটের নিকট ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত ড্রেজার চালক বলেন, দিনে ৮-১০ হাজার ফুট বালু তোলা যায়। তবে মাঝে মধ্যে বন্ধ রাখতে হয়। লোকজন আসে এজন্য। আমাদের উঠাতে বলছে, তাই উঠাচ্ছি। বন্ধ করলে চলে যাবো।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী হুসাইন শেখকে না পেয়ে তার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি।
নারুয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জিহাদ বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। বালু উত্তোলনের কোন অনুমতি নেই। তিনি ঘোষিয়াল থেকে বালু নিয়ে এসে এখান থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। আমাদের এখানে কোন বালু মহল নেই। এ ধরনের অনুমতি আমরা কখনোই দেই না।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(একে/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০২৫)