গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : মধুমতি নদীর ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পে বাধা ৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসন ও পানিউন্নয়ন বোর্ড যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবীর বিশ্বাস। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুব্রত কুমার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম রেফাত জামিল বলেন, “গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুরে মধুমতি নদীর বিলরুট চ্যানেলে ২৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দেয়। এতে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়ক, মঞ্জুরুল হক খান কলেজ, মসজিদ, উলপুর বাজার, বাজারের বেশ কিছু বাণিজ্যিক ভবন হুমকির মুখে পড়ে। সরকার এসব স্থাপনা সড়ক ও বাজার রক্ষায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী প্রতিরক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করে।

দরপত্র আহ্বান শেষে ঠিকাদারকে কার্যাদেশও প্রদান করা হয়। ৩ মাস আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেখানে কাজ শুরু করে। এর মধ্যে ডাম্পিয়ের কাজ শেষ হয়েছে। অবৈধ স্থাপনার কারণে সিসি ব্লক স্থাপনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ না হলে বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কবলে পড়ে সড়কসহ অন্যান্য স্থাপনা বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে । তাই আমরা সেখান থেকে ৫০টি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ করেছিলাম। কেউ, কেউ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়। কিন্তু অধিকাংশ স্থাপনা রয়ে যায় । এগুলো অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করি । জেলা প্রশাসন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়। আজ বুধবার এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে ।”

স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেনজীর কনস্ট্রাকশনের সাইট ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম নবী বলেন, “পাকা ভবন নির্মাণ করে ভাঙন কবলিত নদীর পাড় অবৈধভাবে দখল করা হয় । এ কারণে সেখানে সিসি ব্লক স্থাপন কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় । অবশেষে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে । এখন এ কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে।”

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবীর বিশ্বাস বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্প এখানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু নদীপাড়ে অবৈধ স্থাপনারা কারণে কাজে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। নেটিশ করার পরও তারা অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে নেয়নি। তাই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

(এমএস/এএস/জানুয়ারি ০৮, ২০২৫)