নড়াইলে নারী ইউপি মেম্বারকে ধর্ষণ ও বিষ প্রয়োগের অভিযাগে আরও একজন গ্রেফতার
নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের নারী সদস্য বাসনা মল্লিককে ধর্ষণ ও বিষ প্রয়োগের অভিযোগে আর একজন এজাহারভূক্ত আসামি গ্রেফতার হয়েছে। তার নাম শফিকুল ইসলাম। শফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের শহিদ মোল্যার ছেলে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা রাত থেকে তার রিমান্ড শুরু হয়ছ। এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দৌলতপুর গ্রামের ফারুক মোল্যার ২ দিনের রিমান্ড শেষ হলেও তিনি কোন স্বীকারোক্তি প্রদান করে নাই।
নড়াইল সদর থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাঃ সাজেদুল ইসলাম বলেন, গণধর্ষণ ও বিষ প্রয়োগের ঘটনায় আসামি শফিকুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাতে মাদারিপুর জেলা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আদালত তাকে রিমান্ডের আবেদনের ভিত্তিতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ফারুক মোল্যার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। ফারুক এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি। আদালতের মাধ্যমে তার পূনরায় রিমান্ড চাওযা হবে। বাকি আসামিদের গ্রফতারর চেষ্টা চলছে বলে জানান।
২৮ ডিসম্বর (শনিবার) নিহত বাসনা মল্লিকর ছেলে রিংকু মল্লিক বাদি হয়ে গণধর্ষণ ও বিষ প্রয়োগের অভিযাগ এনে দৌলতপুর গ্রামের ৪ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। এদের মধ্যে দু’জন গ্রেফতার হলেও আইয়ুব আলীর ছেলে রজিবুল মোল্যা (৩০) ও সাত্তার মোল্যার ছেলে চঞ্চল মোল্যা (৩৫) এখনা ধরা ছাোঁয়ার বাইর রয়েছে।
মামলার বিবরণ জানা যায়, ২৪ ডিসম্বর মাইজপাড়া ইউনিয়নর ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর বাসনা মল্লিক ইউনিয়ন পরিষদ উপকারভোগীদের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকাল স্হানীয় দৌলতপুর গ্রামের আসামি রজিবুল মোল্যা ফোনে পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে ওই গ্রামের মুক্তার মোল্যার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে তাকে মুক্তার মোল্যার বাড়ির একটি কক্ষে আটকিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। আসামিরা বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। বাসনা বিষয়টি ফাঁস করে দেয়ার কথা বললে আসামিরা তাকে মারধোর করে এবং জোরপূর্বক মুখ চেপে মুখের মধ্যে বিষ জাতীয় কিছু ঢেলে দেয়। পরে বাসনা রাত সাড় ৮ টার দিক বাড়িতে ফিরে কাউকে কিছু না জানিয়ে শুয়ে পড়েন এবং কয়েকবার বমি করেন। পরদিন চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও আবারও তার অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হলেও বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু ঘট।
(আরএম/এসপি/জানুয়ারি ০৪, ২০২৫)