আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশার ভেলায় চড়ে সবাই ইংরেজী ২০২৪ সালকে বিদায় জানিয়ে নতুন উদ্যমে ২০২৫ সালকে বরণ করে নিয়েছেন। ঠিক এইসময়ে একটু পেছন ফিরে দেখা যাক ফেলে আসা দিনগুলো।

২০২৪ সালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) চিরদিনের জন্য হারিয়েছে বেশ কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে। যারা কোনোদিন ফিরবেন না। চিরদিনের জন্য পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। এরমধ্যে ২০২৪ সালের শেষের দিকে গত ৩০ অক্টোবর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম। বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ববি’র সামনে যাত্রীবাহি বাস চাঁপায় তিনি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা কয়েক দফায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

সূত্রমতে, এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অর্পনা দাস শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মুমূর্ষ অবস্থায় অর্পনা দাসকে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত ৯ জুন রাত ১১টার দিকে শেফা নূর ইবাদি নামের এক ছাত্রীকে হলের পাঠকক্ষের জানালার গ্রীলের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে তিনিও আত্মহত্যা করেছেন। শেফা নূর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বঙ্গমাতা হলের ১৪১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, বছরের শুরুর দিকে গত ১৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মেসের নিজ কক্ষে বৃষ্টি সরকার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শিক্ষার্থী বৃষ্টি সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সাতক্ষীরায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্ণকাঠির এমএম টাওয়ারের ষষ্ঠতলায় একটি মেসে থাকতেন। নতুন বছরে যেন আর কোন শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যু না হয় সেই প্রত্যাশা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ বরিশালের শিক্ষানুরাগীরা।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ০১, ২০২৫)