কালকিনিতে তিন খুন
ইউপি চেয়ারম্যান সুমনকে আসামি করে দু’টি হত্যা মামলা
মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাশগাড়ি ইউনিয়নে তিন খুনের ঘটনার তিনদিন পর কালকিনি থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত আতাউর রহমান আক্তার শিকদারের বাবা মতিউর রহমান। অপর আরো একটি মামলা করেছেন নিহত সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারের বাবা রশিদ চৌকিদার। দুটি মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে।
গ্রেফতার দুইজন হলেন কালকিনির বাশগাড়ি ইউনিয়নের সাব্বির হোসেন শান্ত ও মোতালেব হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ভোরে আধিপত্য বিস্তার, স্থানীয় কোন্দল ও আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে জেরে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আতাউর রহমান আক্তার শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার ও সহযোগি সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। দীর্ঘ দিন ধরে বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আক্তার শিকদারের সাথে দ্বন্দ্বের কারণেই এই তিন জন খুন হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের দাবী।
এই ঘটনায় নিহত আক্তার শিকদারের বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, তার ভাই রাজন বেপারীসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ৬০ জনকে।
এছাড়াও আরও একটি মামলা করেন নিহত সিরাজুল ইসলাম চৌকিদারের বাবা রশিদ চৌকিদার। এই মামলাও বাশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে আসামি করে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
বর্তমানেও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রাখা আছে। বাজার-ঘাটে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছেন।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল আমীন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের নাম আপাতত বলা যাচ্ছেনা। কারণ এতে আসামীরা গা-ঢাকা দিতে পারে। আসামীদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে। প্রযুক্তির মাধ্যমেও আসামীদের অবস্থান সনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে বাঁশগাড়ীর বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার ভাইকে আসামী করা হয়েছে। বাকিদের নাম বলা যাবে না।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিন হত্যার ঘটনার দুটি মামলা হয়েছে। এছাড়াও দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
(এএসএ/এসপি/ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪)