'আমাদের ওপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই'
রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নিজ বাড়ীতে প্রবাসী স্বামীসহ নিজ পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার চেয়েছেন হামিদা বেগম (৩৫) নামে এক ভুক্তভোগী নারী।
রবিবার সন্ধ্যায় কানাইপুরে কিছু সাংবাদিকদের সামনে নিজের ও তার পরিবারের ওপর হওয়া বর্বরোচিত ওই হামলার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী হামিদা বেগম। এসময় তিনি জানান, গত ৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চর কৃষ্ণনগর ভাটিয়াপাড়া গ্রামের প্রতিবেশী জৈনক মাজেদ শেখ (৫০) পিতা- মৃত খোরশেদ শেখ, রানা শেখ (৩০) পিতা- মাজেদ শেখ ও ময়না বেগম (৪৮) স্বামী- মাজেদ শেখ কতৃক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন।
এ ব্যাপারে হামিদা বোগম বাদী হয়ে ওই দিন রাতে (৮ ডিসেম্বর) রাতে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় উপরোক্ত তিনজনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তিনি আবার এ বিষয়ে ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতে একটি সিআর মামলার আবেদন করেন। আলাদত ১৮ ডিসেম্বর সিআর মামলাটি ( মামলা নং ২৬৩০/২৪) আমলে নিয়ে কোতয়ালি থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। মোকদ্দমা দন্ড বিধির ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৫৫, ৪০৬(২) ও ১১৪ ধারায় করা মামলাটি ফরিদপুরের কোতয়ালি থানার হয়ে তদন্ত করছেন থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হীরামন বিশ্বাস।
ভুক্তভোগী হামিদা বেগমের বক্তব্য ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামীরা হামলায় লোহার রড, রামদা, লাঠি ও হাত ব্যবহার করে হামিদা বেগমের হাতের আঙুলে রক্তাক্ত জখমসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা জখম, তার স্বামী রেজাউল খানের কানের নীচে রক্তাক্ত জখম হওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা জখমসহ মারাত্মকভাবে আহত হন। এসময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ৮ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসা নিয়েছেন বলে ফরিদপুর সরকারি সদর হাসপাতাল সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে, মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে থানা ফরিদপুর কোতয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হীরামন বিশ্বাস এ বিষয়ে জানান, 'কয়েকদিন হলো মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি, এবিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি। একজন প্রবাসী ও তার স্ত্রী'র ওপর হামলার ব্যাপারটি গুরুত্বের সাথেই তদন্ত করা হবে'। এছাড়া, যথাসময়ে মামলাটির তদন্ত শেষ করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এসআই হীরামন।
অপরদিকে, হামলার দিন ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় করা হামিদা বেগমের অভিযোগের ব্যাপারটি তদন্ত শেষ না হওয়া ও এজাহার হিসেবে মামলাটি নথিভুক্ত না হলেও কোন দুঃখ নেই জানিয়ে ভুক্তভোগী হামিদা বেগম জানান, আলাদতে তার করা মামলাটি যেনো কোতয়ালি থানা পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেন এবং পুলিশের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পান। হামলাকারীরা বিভিন্ন লোক মারফত মামলা তুলে নিতে হুমকি ও প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন বলেও জানান হামিদা। এসময় উপরোক্ত বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে ফরিদপুর স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগী হামিদা বেগম।
(আরআর/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪)