রাজন্য রুহানি, জামালপুর : সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল হক বলেছেন, 'আনিছুর রহমান বিপ্লব এমন একজন বিপ্লব, যিনি ছিলেন জামালপুর ছাত্রদলের পথ প্রর্দশক। ছাত্রদলকে সুসংগঠিত ও পুনর্জাগরণে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁর অকাল মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমি তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সবার সুদৃষ্টি কামনা করছি।'

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. সোহেল রানা খান বলেন, আনিছুর রহমান বিপ্লব ভাইয়ের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি জামালপুর জেলার একটি ব্র্যান্ড। সকল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আনিছুর রহমান বিপ্লব ভাইকে যারা ভালোবাসেন তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তার জন্য দোয়া এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনায় গরিব অসহায় ও এতিম মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাহলেই তার আত্মা শান্তি পাবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, লোক দেখানোর ভালোবাসার দরকার নাই। সবাইকে আল্লাহর কাজ করতে হবে। অন্যের গীবত করা যাবে না। মানুষ দেখানোর রাজনীতি আমি করিনা, আমি রাজনীতি করি গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য।

বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান বিপ্লবের স্মৃতিচারণ ও স্মরণসভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথ বলেন। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে জেলা যুবদল আয়োজিত শহরের বাগোরহাটা (বটতলা) কার্যলয়ে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, আনিসুর রহমান বিপ্লব ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য। জেলা ছাত্রদল ও শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন-সম্পাদক ও জেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো: সোহেল রানা খান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি কাজী মো. মসিউর রহমান, শহর যুবদলের আহ্বায়ক মো. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান রতন, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম হোসেন মঙ্গল, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন জনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদলের শহর শাখার সভাপতি মো. ইমরান কাইসার প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকরামুল হোসেন মানিক। পরে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

(আরআর/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪)