স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সোহাগপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি (উত্তর)।

শুক্রবার জেলা পুলিশের (ডিবি, উত্তর) একটি চৌকস আভিযানিক দল ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১ টি মাইক্রোবাসসহ তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের মৃত খালাই মিয়ার ছেলে সুরত মিয়া (৩৮), আবু মিয়ার মেয়ে তাসলিমা (৩২), মৃত ইউনুস আলীর মেয়ে আসমা বেগম (৩০), মৃত কালামের মেয়ে মোছাঃ আলেয়া (৩৭),আঃ কাদেরে মেয়ে সোনিয়া আক্তার(২১), নূর মিয়ার মেয়ে মোছাঃ রিফা আক্তার (২৬), মৃত মজিবর রহমানের মেয়ে আকলিমা বেগম (৪০), সরাইল উপজেলার বন্দরআটি (সাবদু মিয়ার বাড়ী) এলাকার মৃত সমুজ আলীর মেয়ে সেলিনা বেগম (৩২),
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামের রমজান মিয়ার মেয়ে জুলেখা বেগম (৩১), ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল টেকিপাড়া এলাকার মোঃ ছামসুল হকের ছেলে মোঃ সেলিম সরকার (৩৭)।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে ও পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম এর নির্দেশনায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি'র ( উত্তর) একটি চৌকস আভিযানিক দল ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১ টি মাইক্রোবাস সহ ১০ জন ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করে। ডাকাত দলের সদস্যরা মাইক্রোবাসে মির্জাপুর থানা এলাকায় হিন্দু বাড়ীতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে মুসলিম মহিলা ডাকাত সদস্যরা মাথায় সিঁধুর, কপালে টিপ এবং হাতে শাঁখা পরিধান করে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। এ ঘটনায় ডাকাতদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা রজ্জু করা হয়েছে মির্জাপুর থানার উক্ত মামলা নং-২৬।

ডাকাত দলের প্রায় সবাই নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা। এসব ডাকাতরা পূর্ব হতে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাড়ি, হাসপাতালসহ বিভিন্ন জনসমাগম স্থলে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করে থাকে। নিজেদের পরিচয় আড়াল করে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে তারা কখনো হিন্দু বা অন্য যেকোন ধর্মীয় পোশাক এবং বেশ ধারণ করে থাকে।

এ চক্রের সাথে আর কারা কারা জড়িত এবং তারা কার ছত্রছায়ায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

(এসএএম/এএস/ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪)