মোহাম্মদ সজীব, ঢাকা : রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা চেষ্টার পর পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫মিনিটে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে।

এদিকে, আগুন নেভার পর ভবনের ৮ তলা থেকে একটি কুকুরের পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৮তলা থেকে কুকুরে পুড়ে যাওয়া দেহটি খুঁজে পায় ফায়ার সার্ভিস। রাতের বেলা সচিবালয়ের মতো একটি জায়গায় ৮তলায় কীভাবে একটি কুকুর গেলেন সেটি নিয়ে সবার মনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন? ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি।

পুড়ে যাওয়া কুকুর এর বিষয়ে ফায়ার ফাইটার মো. ইমরান শিকদার বলেন, কোনো ভবনে আগুন নির্বাপণ করার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুরো ভবন খুঁজে দেখা হয়। কারণ সেখানে আহত বা নিহত অবস্থায় কেউ থাকতে পারেন। সেই কাজ করার সময় আমরা কুকুরের পুড়ে যাওয়া দেহটি খুঁজে পাই।

এদিকে আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে ট্রাকচাপায় ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মো. সোহানুর জামান নয়ন।

জানা যায়, পানির পাম্প থেকে লাইনের সংযোগ দিতে সড়ক পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় সোহানুর আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

পুড়ে যাওয়া ৭ নম্বর ভবন সার্চ করা আরেক ফায়ার ফাইটার মো. তরুণ বলেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৮তলা পুরোপুরি পুড়ে গেছে। এখানে দেওয়ালের প্লাস্টার খসে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। কাগজ পত্র সব পুড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু ৮তলা নয় ভবনের ৬, ৭ ও ৯ তলাতেও কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এর পরই সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আগুনের তীব্রতা বাড়লে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট অগ্নিনির্বাপণ কাজে যোগ দেয়। পরে ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

(এমএস/এএস/ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪)