দেবহাটায় হামলা মামলার সাক্ষী হওয়ায় বাড়িতে হামলা, সাত জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ভাইকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী হওয়ায় বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের পলগাদা গ্রামের আবুল খায়েরের স্ত্রী নির্যাতিত নূরজাহান বাদি হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে বৃহষ্পতিবার থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, দেবহাটা উপজেলার পলগাদা গ্রামের ইউসুফ সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম, সেলিম সরদার, ডালিম সরদার, শফিকুলের ছেলে আবু বক্কর, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ আলী ও একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে ওসমান।
মামলার বিবরনে জানা যায়, পলগাদা এলাকার ঘুরনচণ্ডি খাল ও দাড়ার খালের নেটপাটা অপসারণে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালায়। অভিযানের আগে খালে নেটপাটা দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পরদিন সকালে ঘেরের বাসা থেকে ফেরার সময় নুরজাহানের দেবর হারুন অর রশিদকে পিটিয়ে একই গ্রামের ইউসুফ সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম সরদারের নেতৃত্বে পিটিয়ে জখম করা হয়।
এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর আদালতে শফিকুলসহ তার তিন ছেলের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করে হারুন অর রশিদ। আদালতের নির্দেশে দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক তাজুল ইসলাম তদন্ত করছেন। বিষয়টি জানতে পেরে শফিকুল ও তার পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হারুনকে ও সাক্ষী না দেওয়ার জন্য নূরজাহানের স্বামী আবুল খায়েরকে হুমকিব ধামকি দিয়ে আসছিলো। মামলা তুলতে ও সাক্ষী না দেওয়ার জন্য অপারগতা প্রকাশ করায় বুধবার সকাল ৯টার দিকে শফিকুল ইসলাম, তার ভাই সেলিম, ডালিম, শফিকুলের ছেলে আবু বক্কর, ওসমান, মোহাম্মদ আলী ও একই গ্রামের ওসমানসহ কয়েকজন সশস্ত্র অবস্থায় নূরজাহানের বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর ও সোনার গহনা এক লাখ টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করে। লুটপাটে বাধা দেওয়ায় নূরজাহানের বাম পা কুপিয়ে জখম করে। নূরজাহানকে উদ্ধার করে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হযরত আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
(আরকে/এএস/ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪)