শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ, সোনারগাঁ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দেয়ালে দেয়ালে কে বা কাহারা রাতের আঁধারে জয় বাংলা গ্রাফিতি এঁকে দিয়েছেন আর এতেই সোনারগাঁয়ের বিএনপি পাড়ায় শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

উপজেলার বিএনপির অধ্যুষিত মোগরাপাড়া ইউনিয়ন এর বাড়ি মজলিশ ও বাড়ি চিনিষ এলাকায় প্রতিটি দেয়ালে আঁকা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্লোগান 'জয় বাংলা'। বাদ যায়নি বিএনপি নেতাদের দেয়ালও।

গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ, যুবদল নেতা রাকিব হাসান, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব বাবুল হোসেন বিজয় এর বাড়ির দেয়াল সহ আশপাশের সব জায়গায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা স্প্রে রংয়ের মাধ্যমে জয় বাংলা গ্রাফিতি এঁকে দেয়।

স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীরা বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে এসব দেয়াল লিখনের কাজ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে উপজেলা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, যারা রাতের আধারে চুপিসারে চোরের মতো এ ঘটনায় ঘটিয়েছে, যদি কোন প্রমাণ পাই সমুচিত জবাব দিয়ে তাদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ করব। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা বর্তমানে সেন্টমার্টিন অবস্থান করিতেছি এলাকায় এসে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, জয় বাংলা ছিল মুক্তিবাহিনীর স্লোগান এবং যুদ্ধের আর্তনাদ, যেটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়াই করছিলো সেইসব মুক্তিকামী বাঙালির দেশ স্বাধীনের একমাত্র টোন বা কণ্ঠস্বর। জয় বাংলা স্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাঙালির প্রেরণার উৎস। পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সফল অপারেশন শেষে বা যুদ্ধ জয়ের পর অবধারিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করে 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে জয় উদ্‌যাপন করত।

তখন আরও ছয়টি স্লোগান প্রচলিত ছিলো- যেমন, 'জয় বাংলা বাংলার জয়'/ 'তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি'/ 'তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা'/ 'তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব'/ 'বীর বাঙালি লাঠি ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর'/ 'বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর'। তেমনি বর্তমান সময়ে ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের উচ্চারিত কণ্ঠস্বর হলো জয় বাংলা। এটা একমাত্র আওয়ামী লীগের স্লোগান নয় এটা সর্বজনীন, সকলের। আর এই স্লোগানকে বিএনপি কেন ভয় পাচ্ছে তা আপনারাই বলতে পারবেন।

(এসবি/এসপি/ডিসেম্বর ২২, ২০২৪)