পলাশবাড়ীতে মহল্লাদার নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য প্রত্যাহারে সংবাদ সম্মেলন

রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গত শুক্রবার পলাশবাড়ীতে মহল্লাদার ও দাফাদার নিয়োগ কার্যক্রম নিয়মমাফিক হলেও একটি মহল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চেয়ারম্যানদের বিতর্কিত করতে নিয়োগের অযোগ্যদের নানা ভাবে প্রভাবিত করে সংবাদ সম্মেলন করতে পরামর্শ দেন। নিয়োগে অযোগ্য কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সোহেল মিয়া সেই মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ওই রাতেই পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জানান তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে, পরে দেখা যায় ইউনিয়নের যে ওয়ার্ডের জন্য মহল্লাদার নিয়োগ করা হবে সোহেল মিয়া সেই ওয়ার্ডের বাসিন্দাই নয়। পরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন সোহেল মিয়া। মহল্লাদার ও দাফাদার নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ এনে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন ও দায়েরকৃত অভিযোগ প্রত্যাহারে জন্য এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহল্লাদার নিয়োগের অনিয়ম ও দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনকারী ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়েরকারী মোঃ সোহেল মিয়া ও কুমার নারায়ন বাবু নামে দুই ব্যক্তি।
সংবাদ সম্মেলনের সময় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম সরকার, সাধারণ সম্পাদক পাপুল সরকার, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রানা শেখ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীগণ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তারা জানান, আমরা অত্যান্ত দুংখের সহিত জানাইতেছি যে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান ও উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানগণের বিরুদ্ধে মহল্লাদার ও দাফাদার নিয়োগের ঘটনায় মিথ্যা অনিয়মের অভিযোগে এনে স্থানীয় একটি সরকার বিরোধী চক্রের প্রচারণায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে এসে পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগ গুলো মিথ্যা এবং আমাদের মনগড়া, চাকুরী পাওয়ার প্রলোভনে আকৃষ্ট হয়ে মিথ্যা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরা এ সংবাদ সম্মেলন করেছি। পরবর্তীতে স্থানীয় সচেতন মহলের সাথে আলোচনা করে উক্ত সংবাদ সম্মেলন এর সকল বক্তব্য প্রত্যাহার করছি ও পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান এবং উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানগনের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সেই সাথে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের দায়েরকৃত অভিযোগ গুলো আমরা স্বজ্ঞানে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। এ ঘটনায় আবারো গণমাধ্যমকর্মী, পলাশবাড়ীবাসী ও দেশবাসীর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে দুংখ প্রকাশ করছি।
(আরআই/এসপি/ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪)