মহান বিজয় দিবসে ময়মনসিংহে পুষ্পস্তবক অর্পন ও বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত
নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত এদেশের বিজয়। সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহেও বিজয় দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।ময়মনসিংহ ব্রিজমোড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সৌধে সরকারি বেসরকারি দলমত নির্বশেষে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিনব্যাপী কর্মসূচি সমূহের অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সূর্যোদয়ের পর নগরীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো: মোখতার আহমেদ, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মোঃ আশরাফুর রহমান, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মোঃ আজিজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক সুমনা আল মজীদ, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, এপি এস ও গণমধ্যম মানবাধিকার সংস্থা সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজসহ প্রায় সকল সংস্থা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গ সংগঠন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ময়মনসিংহের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্তরের জনগণ। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ নগরীর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে গত ১৬ ডিসেম্বর (সোমবার) বিজয় মেলা আয়োজন করা হয়েছে। ফিতা কেটে দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো: আখতার আহমেদ।
উদ্বোধন পরবর্তী বিভাগীয় কমিশনার বিজয় মেলার স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ড.মোঃ আশরাফুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার মো: আজিজুল ইসলামসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন ৭১-এর স্বাধীনতা। ১৬ই ডিসেম্বরের এই দিনে বাঙালি জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। বিজয়ের এই স্মৃতিকে আরো বেশি স্মরণীয় ও দীর্ঘস্থায়ী করতে এ ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে এ মেলার গুরুত্ব অনেকাংশে।
আঙিনা, আমরা পারি, রাংতা, অন্যান্য, বেহু, রকমারি ভালুকা, ব্রহ্মপুত্র শিল্প কুটিরসহ বিভিন্ন নামীয় প্রায় ৩৪টি স্টল এ মেলায় স্থান পায়।
(এনআরকে/এএস/ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪)