'মুক্তির পথ না দেখিয়ে পাকিস্তান সরকারের সাথে দেন-দরবারে ব্যস্ত ছিলেন শেখ মুজিব'
রাজন্য রুহানি, জামালপুর : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেছেন, "১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে পাক হানাদার বাহিনী যখন জাতির ওপর যখন বর্বরোচিত হামলা চালায় এবং বির্বিচারে খুন, গুম ও গণধর্ষণ শুরু করে তখন শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব এই জাতিকে সঠিক মুক্তির পথ না দেখিয়ে পাকিস্তান সরকারের সাথে দেন-দরবারে ব্যস্ত ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তানের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজয়ী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠন করার জন্য।
ঠিক সে সময়ে যে মানুষটি বুঝতে সক্ষম হয়েছিল এ জাতির মুক্তির জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম ছাড়া মুক্তির পথ নাই। যে কারণে নিজের জীবন বাজি রেখে সর্বপ্রথম পাকিস্তান সরকারের সাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। সেই ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ জাতির মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রাম হয়েছে।
জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতারা এই জাতিকে ফাঁকি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠনের নামে ভারত গিয়ে নিজেদের জীবন রক্ষা করেছেন।"
তিনি আরও বলেন, "৩০ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে, ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই জাতির স্বাধীনতা যখন নিশ্চিত, পাক হানাদার বাহিনীও যখন বুঝতে পেরেছিল আর সম্ভব নয়, ঠিক সেই মূহুর্তে বিজয়ের ঠিক আগে আগে পাক হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এই জাতির ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার হীন কৌশলে ১৪ ডিসেম্বর এই দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।"
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে শহর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহর বিএনপির সভাপতি মো. লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিউর রহমান শফি, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খান দুলাল, শহর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইন উদ্দিন বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুর রহমান মমিন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সভায় জেলা বিএনপি, শহর বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
(আরআর/এএস/ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪)