সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাটের বাজারে সব ধরণের শীতকালীন সবজি ও মাছের দাম কমেছে। সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও, আলু ও চালের দামে ভোক্তা পর্যায়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে। সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসলেও, চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ১০ টাকা। আলু রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজি ফুলকপি, ওলকপি, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৬০-৮০ টাকা কেজি। মুলা ২০, পাতাকপি ৩০, কাচা টমেটো ৬০, গাজর ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পুরাতন আলু এখনও ৭৫ এবং নতুন আলু ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাগেরহাটে মাছের বাজারও নিম্নমুখি। চাষের রুই, কাতল, সিলভার কার্প, নাইলোটিকা আকার ভেদে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কমেছে ইলিশসহ সব ধরণের সাগরের মাছের দাম।

তবে কয়েকদিনের ব্যবধঅনে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ১০ টাকা। মোটা বুলেট ও স্বর্ণা চাল ৫২ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আর চিকন চালের দাম ৬৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি পর্যন্ত পৌঁছেছে। যার ফলে সবজি-মাছের দাম কমলেও, চাল-আলু নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

জেলার কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায় বাজার করতে আসা মাহমুদুল হাসান বলেন, সবজির দাম কমলেও চালের দাম বেড়ে গেছে। শুধু সবজিতে কি পেট ভরবে।

শাহিনুর বেগম নামের এক গৃহিণী, বলেন, ২৫ কেজির বস্তায় একশ টাকা বেড়েছে চালের দাম। যা আমাদের জন্য অনেক কষ্টের। আবার ৭৫ টাকার নিচে কোন আলু নেই, কি খাব আমরা।

সেলিম আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে সবজি ও মাছের দাম কমেছে, কিন্তু চালের দাম বেড়ে গেছে। আমাদেরও ভোগান্তি বাড়েছে।
চাল ব্যবসায়ী লিটন মাতব্বর বলেন, মিল মালিকরা কোন নোটিশ ছাড়াই ২৫ কেজির বস্তায় একশ এবং ৫০ কেজির বস্তায় ১৫০ টাকা দাম বাড়িয়েছে। আবার চিকন চালে অনেক ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আমরা যে দামে কিনি সামান্য লাভ রেখে বিক্রি করে দেই।

বাগেরহাট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স কাজ করছে। আমরা নিয়মিত বাজারে অভিযান চালাচ্ছি।

(এসএসএ/এএস/ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪)