ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। এর মধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। বাইছে উত্তরের হিমেল বাতাস। ফলে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে ঈশ্বরদী। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী গতকাল বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরো কমেছে। শীতের তীব্রতা আগের দিনের চেয়ে বেশি।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারি পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারও আগে ৮ ডিসেম্বর রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার সারা দিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। এরআগে সোমবার ও মঙ্গলবার অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও দিনের বেশীরভাগ সময় ছিলো কুয়াশাচ্ছন্ন। রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই ঘন কুয়াশায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় প্রকৃতি। রাত ৮টার পর তো দৃষ্টিসীমা ২০ মিটারের কমে নেমে যায়। সড়ক-মহাসড়কে গতি কমিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কুয়াশার চাদরে মোড়া ছিল প্রকৃতি। বিকেল ৩টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি।

আবহাওয়া অপিসের নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, সূর্য্য না উঠা এবং হিমেল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এখন তাপমাত্রা এ রকমই থাকবে এবং আরও কিছুটা কমতেও পারে।

এদিকে শীত নামলেও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারিভাবে শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা হয়নি। এখনো কোনো বরাদ্দ আসেনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবির কুমার দাস। তিনি বলেন, এখনো শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে বিতরণ করা হবে।

(এসেকেকে/এসপি/ডিসেম্বর ১২, ২০২৪)