তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রী
তীব্র শীতে গোপালগঞ্জের জীবনযাত্রা বিপর্যন্ত
তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গোপালগঞ্জে রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তীব্র কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় শীতের তীব্রতা দ্বিগুণ অনুভূত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দেশের ও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গোপালগঞ্জে রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ। তীব্র শীত আর গরম কাপড়ের অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল, গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজে বের হতে পারছেন না তারা। তবে অনেকেই টুপি, মাফলার ও চাঁদর মুড়ি দিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন। ভোরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। অনেকেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভীড় করছেন হাসপাতাল গুলোতে। এরমধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। গরম কাপড় কিনতে পুরানো কাপড়ের দোকানে ছুটছেন নিম্ম আয়ের মানুষ।
দিনমজুর রাজু (২৫) বলেন, আমি রাস্তার নির্মাণ কাজ করছি। শীতে কাজ করতে খুব কষ্ট পাচ্ছি। শীতের সাথে বাতাসে আরো কাহিল হয়ে পড়ছি। ভোরে কাজে আসার সময় কুয়াশা ও বাতাস ছিল। কাজে আসার সময় প্রচন্ড ঠান্ডা লেগেছে। এমন আবহাওয়া থাকলে কাজে বের হওয়া খুবই কষ্টের।
নির্মাণ শ্রমিক মোঃ মাসুদ বলেন, বিল্ডিং এর কাজ করছি। শীতে হাত জমাট বেধে যাওয়ার মতো অবস্থা। বাতাসে শীত বেশি লাগছে। গতকাল বুধবার এত শীত ছিল না। একদিনের ব্যবধানে হঠাৎ করে এত শীত পড়ায় সহ্য করতে পারছি না। আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে, তারপরও পেটের দায়ে কাজে এসেছি।
গোপালগঞ্জ আবহওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকাল ৬ টায় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ। গতকাল বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মূলতঃ ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ না দেখা যাওয়া এবং উত্তরের মৃদু হিমেল হওয়ার কারণে এই শীতের অনুভূতিকে বাড়িয়ে তুলছে। আগামী ৩ দিনে এই তাপমাত্রা আরো সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন জেলায় শৈত্য প্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ১২, ২০২৪)