‘রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে’
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রিটিশ গ্লোবাল পার্টনার্স গভর্নেন্স (জিপিজি) প্রতিনিধি দল গতকাল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দায়িত্ব নিয়েছে। এটা একটি অভিনব ঘটনা যা এর আগে কখনো ঘটেনি। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এরকম হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমরা এরকম পরিস্থিতিতে কাজ করার চেষ্টা করছি।
স্কটিশ পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য লর্ড জেরিমাই পুরভিস অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ কি কি জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, মূলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সমস্যা, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া এবং বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ স্থাপন করাই অন্তবর্তী সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ।
চিলির সাবেক সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী জর্জিও জ্যাকসন সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো চাচ্ছে সংস্কার তাদের অধীনেই হোক। তাই তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। তারা সংস্কারের পরিবর্তে নির্বাচনকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।
ফরেন কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসার মাট চার্টার কোন কোন বিষয়ে অন্তবর্তী সরকার তাদের সাহায্য চায় জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং গণহত্যার বিচার বিষয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে নানা রকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানকে অনেকেই ঠিকমত ব্যাখ্যা করতে পারছে না। কিভাবে এত অল্প সময় এত বড় এক স্বৈরশাসকের পতন হলো তা মানুষ বুঝতে পারছে না। ফলে দেশের ভিতরে এবং বাইরে নানা রকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়েও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই আন্দোলনটা যে গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থান তা অনেকেই অস্বীকার করার চেষ্টা করছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার সংকট চলছে, মানুষ ভোট দিতে পারত না, কয়েক হাজার মানুষকে গুম করে ফেলা হয়েছে। একটা দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে দেশের মানুষ ছিল। তাই মানবাধিকার রক্ষা করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। জিপিজি প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেন।
(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ১২, ২০২৪)