মো: মিশুক আহমেদ জয়, কুষ্টিয়া : আজ ১১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার কুষ্টিয়া জেলা হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। কুষ্টিয়া ছিল মুক্তিযুদ্ধের অস্থায়ী রাজধানী। এ কারণে পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন, আক্রমণ ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে এ জেলায় হানাদার বাহিনী শুরুতেই প্রতিরোধের মুখে পড়ে।

১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ ভোরে মুক্তি বাহিনী কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পাকিস্তানি হানাদার ক্যাম্পে হামলা চালান । এতে অসংখ্য পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। ১ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী কুষ্টিয়া ছেড়ে পালিয়ে যায়।প্রথমবারের মতো মুক্ত হয় কুষ্টিয়া। পরবর্তীতে ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন হয়।

এরপর দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়ে ১৬ দিন পর আবারও কুষ্টিয়া দখল করে নেয় পাকবাহিনী।বংশীতলা, দুর্বাচারা, আড়পাড়া, মঠবাড়িয়া, মিরপুরের কাকিলাদহ, হরিপুর, কুশলীবাসা, কুমারখালীর ঘাসখালিসহ ৪৪টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যোথ আক্রমণে ৯ ডিসেম্বর শহর ছাড়া অন্য এলাকা মুক্ত হয়। ১০ ডিসেম্বর রাতে পাক বাহিনী ভেড়ামারা পাকশী ঘাট হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া ছেড়ে চলে যায়। ১১ ডিসেম্বর পুরোপুরি মুক্ত হয় কুষ্টিয়া।

হাজার হাজার মানুষ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় নেমে আসেন। পথে প্রান্তরে গড়ে তোলা হয়েছিল বেরিক্যাড। লাঠি-সড়কি, ঢাল-তলোয়ার নিয়ে উপজেলার হরিপুর-বারখাদা, জুগিয়া, আলামপুর, দহকোলা, জিয়ারুখী, কয়া, সুলতানপুর, পোড়াদহ, বাড়াদিসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ ছুটে এসেছিলেন কুষ্টিয়া শহরে। মুক্তির আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছিলেন তারা।

(এমজে/এসপি/ডিসেম্বর ১১, ২০২৪)