যমুনা সার কারখানা দ্রুত চালুর দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ১১ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া যমুনা সার কারখানা চালুর দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে তারা কারখানায় পুনরায় ইউরিয়া উৎপাদন চালু করতে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি গ্যাস সংকটের কারণে দেখিয়ে কারখানায় সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান এখলাস, মুখপাত্র বিবেক, যুগ্ম আহবায়ক আকুল মিয়া, সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, সদস্য ছাবের হোসেন বিপুল।
বক্তারা বলেন, সুকৌশলে দেশের সব শিল্প কারখানা বন্ধ করে দেয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। তারা যমুনা সার কারখানা থেকে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে কারখানার বেহাল দশা বানিয়েছে। লুটপাট ঢাকতেই বিগত সরকার চলতি বছরে গত ১৫ জানুয়ারি গ্যাস সংকটের অজুহাতে বন্ধ করে দেয় তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা।
তারা আরও জানান, দীর্ঘদিন যমুনায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানার বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাবার আশংকা দেখা দিয়েছে। যমুনার এক টন সার উৎপাদন করতে খরচ লাগে ১৮-২০ হাজার টাকা। আর দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে সমপরিমাণ সারের খরচ লাগে প্রায় এক লাখ টাকা। আমদানি নির্ভরতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে আমাদের দেশীয় শিল্পকে বাঁচাতে হবে।
এদিকে যমুনা সারকারখানা থেকে উত্তরবঙ্গসহ ২১ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার যমুনার সার উত্তোলন করেন। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকলে কারখানার কমান্ডিং এরিয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে সার সংকটের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
(আরআর/এসপি/ডিসেম্বর ১০, ২০২৪)