রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : খাল থেকে নেট পাটা অপসারণ করতে আসা সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলায় এক ঘের কর্মচারিকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পলগাদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যা মামলার পলাতক আসামীর নেতৃত্বে মারাত্মক জখম ওই ঘের কর্মচারিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ঘের কর্মচারির নাম শেখ হারুন অর রশিদ (২৯)। তিনি পলগাদা গ্রামের ফজর আলী শেখের ছেলে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পলগাদা গ্রামের শেখ হারুণ অর রশিদ জানান, তিনি একই এলাকার পলগাদার আল হেরা জামে মসজিদের পাশে গোলাম নবী ওরফে পুটে কচির একটি ঘেরের কর্মচারি হিসেবে কয়েক বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পলগাদা এলাকার ঘুরনচণ্ডি খাল ও দাড়ার খালে একটি মহল নেট পাটা দিয়ে মাছ ধরায় পানির স্রোত বাধাগ্রস্ত হয়। তিন মাস আগে পারুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার নাজমুল হাসানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ওইদুটি খালে নেটপাটা অপসারন করেন। এ সময় নেটপাটা দিয়ে পানিপ্রবাহে বাধাদানকারি পলগাদার ইউসুফের ছেলে শফিকুলসহ কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়। এর কয়েকদিন পর শফিকুল, তার তিন ছেলে আবু বক্কর, ওমর আলী ও মোহাম্মদ আলীসহ কয়েকজন ঘুরনচণ্ডি খালে আবারো নেট পাটা দিয়ে মাছ ধরা শুরু করেন।

শফিকুল খলিষাখালির ভূমিহীন নেতা কামরুল হত্যা মামলার আসামী। সম্প্রতি জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে পারুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার শর্মিষ্ঠা সরকারসহ উপজেলা প্রশাসনের ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারি ঘুরনচণ্ডি খাল ও দাড়ার খালে নেটপাটা অপসারনে আসেন। পলগাদা ব্রীজের পাশে তাকে দেখে ওই কর্মকর্তারা তাকে জায়গার অবস্থান চিনিয়ে দিতে বলেন। এরপর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত উপজেলা প্রমাসন খালে নেটপাটা অপসারন করেন। এতে ক্ষুব্ধ ছিল শফিকুল ও তার ছেলেরা। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল সাতটার দিকে তিনি মালিকের ঘেরের বাসা থেকে বের হয়ে মাছের ব্যাগসহ সাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হওয়া মাত্রই শফিকুল ও তার তিন ছেলে তার গতিরোধ করে। নেটপাটা অপসারনের জন্য তাকে দায়ি করে জিআই পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৯, ২০২৪)