হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে পালিত হলো সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে পালিত হল সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। আজ শনিবার দুপুরে শহরের পোষ্ট অফিস মোড়ে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন মিলনায়তনে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পালের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা চলাকালে এ হট্টগোল শুরু হয়।
সভায় বক্তব্য দেন, জেলার সাবেক মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন মশু, জেলার সাবেক মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক অধ্যক সুভাষ সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড,নুরুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলতাফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমা-ের জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম শরীফ উদ্দীন, কাজী মিঠু প্রমুখ।
আলোচনা সভায় অধিকাংশ বক্তারা বলেন, ফু দিয়ে বা ঝাড়-ফুকের মাধ্যমে সাতক্ষীরা মুক্ত হয়নি।সাতক্ষীরা মুক্ত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের কঠোর প্রতিরোদের মাধ্যমে।আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা মৌলবাদীদের হাতে তুলে দিতে পারি না।সে জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধাদের সম্মান অক্ষুন্ন রাখার জন্য।
তবে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ বক্তব্য রাখার সময় কামারনগর, সুলতানপুর ও পলাশপোল এলাকার কিছু ছাত্রদল ও যুবদল কর্মী পরিচয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। এসময় তারা মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকারকে লক্ষ্য করে বলেন যে, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছেন। আপনারা সকলে আওয়ামী লীগের প্রেত্মাতাদের অনুসারী। এ সভা চলতে দেওয়া যায় না।
মুক্তিযোদ্ধারা আরো বলেন, জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার এসএম শহীদুল ইসলাম বলেন, এ সভায় যারা বক্তব্য রেখেছেন তারা মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করেননি। যারা গণতন্ত্র উদ্ধার ও স্বৈারাচারের মাধমে লুটপাট ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে নতুন করে স্বাধীনতা এসেছে। এতে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেব স্বীকৃতি পাবে। যারা ৫ আগষ্টের স্বাধীনতা অন্দোলনে ভূমিকা রে খেছিলেন তাদের চিন্তা চেতনা দেশবাসির মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তবে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার আলোচনাকালে প্রয়াত জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ না করায় ভুল স্বীকার করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাত থেকে সাতক্ষীরা মুক্ত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল করিম।
(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪)