একে আজাদ, রাজবাড়ী : কৃ‌ষি প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ রোপ‌ণে ৪ হাজার কৃষক ক্ষ‌তিগ্রস্ত এমন সংবাদ দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে জেলাজুড়ে ব্যাপক সামালোচনা তৈরি হয়। দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থান রাজবাড়ী হলেও পেঁয়াজের আবাদে লক্ষ্যমাত্র পূরণে শঙ্কা তৈরি হয়। গঠিত হয় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির সুপারিশে সত্যতা মেলে নষ্ট বীজের। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নতুন করে পুনরায় বীজ বিতরণের সিধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বীজ প্রত্যয়ক কর্মকর্তা মো. মাজিদুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে মাঠ পর্যায়ে নষ্ট বীজের বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলাম। এরপর সিধান্ত হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ১ কেজি করে বীজ পুনরায় দেওয়া হবে।

জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রাজবাড়ীর কৃষি বিভাগ বারি ফোর, তাহেরপুরি ও বারি এক জাতের বীজের জন্য বিএডিসিকে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। নভেম্বরে জেলার ৪ হাজার কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে এসব বীজ বিতরণ করা হয়। বীজতলায় রোপণের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও বীজে অঙ্কুরোদগম হয়নি। এতে বিপাকে পড়েন জেলার পেঁয়াজ চাষিরা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন, এখন পেঁয়াজের বীজ দিলে তেমন লাভ হবে না। বীজতলা থেকে চারা উঠতে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মতো সময় লাগে। সেই চারা দিয়ে পেঁয়াজ হবে বলে মনে হয় না। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে বীজ নিবেন কিন্তু জমিতে লাগাবে কিনা সন্দেহ আছে। তবে কৃষি বিভাগ কঠিন পরিশ্রম করলে ফল পাওয়া সম্ভব হতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ. জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি কৃষকদের পাশে থাকার। বীজ নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব স্যারের সাথে সভা হয়েছে। সেখান থেকে সিধান্ত হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত সকল কৃষক ১ কেজি করে পেঁয়াজের বীজ পাবেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী রবিবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ শুরু হবে। তবে এবার বিএডিসির বীজ দেওয়া হচ্ছে না। আমরা লক্ষ্যমাত্র পূরণে কৃষকদের পাশে আছি।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০২৪)