স্টাফ রিপোর্টার : মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার  প্রতিভাবান সন্তান মোহাম্মদ সুমন মিয়াঁ সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লিংকনস ইন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যারিস্টার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। এই গৌরবজনক অর্জন তার অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম এবং অসীম প্রতিভার প্রমাণ। ইতিমধ্যেই তিনি ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের সর্বোচ্চ কোর্টের একজন কোয়ালিফায়েড সলিসিটার হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। এখন তিনি একসঙ্গে একজন ব্যারিস্টার ও সলিসিটার—এক অনন্য কৃতিত্ব যা অনেকের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

মোহাম্মদ সুমন মিয়াঁ তার পড়াশোনা ও পেশাগত জীবনে কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। আইনজীবী হিসেবে তার কাজের ক্ষেত্র শুধু যুক্তরাজ্যের আইনি অঙ্গনেই সীমাবদ্ধ নয়; তিনি একজন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

তার পেশাগত দক্ষতা এবং গভীর আইনি জ্ঞান তাকে আদালতে অসংখ্য জটিল মামলা সফলতার সঙ্গে সমাধান করতে সহায়তা করেছে। আইনের প্রতি তার নিবেদন এবং ন্যায়বিচারের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি তাকে শুধু একজন দক্ষ আইনজীবী নয়, বরং একজন মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে।

মানবকল্যাণে কাজ করার স্বপ্ন

সুমন মিয়াঁ শুধু পেশাগত দক্ষতায় থেমে থাকেননি; তিনি মানব কল্যাণে নিজেকে নিবেদন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। তার মতে, একজন আইনজীবীর আসল দায়িত্ব কেবল আদালতে লড়াই করা নয়, বরং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। এই মূল্যবোধ থেকেই তিনি মানবতার সেবায় কাজ করতে চান। তার এই দৃষ্টিভঙ্গি কেবল একটি আইনজীবীর ভূমিকাকে প্রসারিত করে না, এটি সমাজে তার প্রভাবকে আরও অর্থবহ করে তোলে।

রাজনীতি ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ছোটবেলা থেকেই সুমন মিয়াঁ রাজনীতি ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই তিনি নেতৃত্বের গুণাবলি দেখিয়েছেন এবং বিভিন্ন সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র ক্ষমতাকেন্দ্রিক নয়; বরং তিনি একটি ন্যায়ভিত্তিক, সমৃদ্ধ ও উন্নত সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেন।

তিনি মনে করেন, একজন আইনজীবী হিসেবে তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। তার লক্ষ্য হল সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি রাষ্ট্র গঠন করা, যেখানে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।

মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মানুষ যেমন তার এই অর্জনে গর্বিত, তেমনই সারা দেশের মানুষের কাছেও তিনি প্রেরণার প্রতীক। তার এই সাফল্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রতিকূলতার মধ্যেও দৃঢ় সংকল্প এবং পরিশ্রম মানুষকে যে কোনো উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।

সুমন মিয়াঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং তার অবদান কেবল আইনজীবী হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। তিনি আইন, মানবসেবা এবং রাজনীতির মেলবন্ধন ঘটিয়ে দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিতে চান। তার এই অঙ্গীকার আমাদের মনে আশা জাগায় এবং দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।

(এসটি/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০২৪)