গোপালগঞ্জে দুই ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ৫ ঘণ্টার সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মহারাজপুর ও মোচনা ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ৫ ঘণ্টাব্যাপী সংর্ঘষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বণগ্রাম বাজারের সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে বণগ্রাম বাজার এবং আইকদিয়া গ্রামের আশপাশ এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। পরে পুলিশ সেনা বাহিনী ও র্যাব সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত অন্তত ৪০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।বাকীরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বণগ্রাম বাজার ব্যাবসায়ী আলামগীর হোসেন মিয়া (৬৫), আদিল মোল্লা (৫৫) কামাল মুন্সি (৫০) বলেন, মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজার এলাকায় পার্শবর্তী মোচনা ইউনিয়নের আইকদিয়া গ্রামের শওকত সিকদার, আসাদ সিকদার ও তার লোকজন সরকারি জায়গা দখল করে। আজ মঙ্গলবার সকালে সেখানে তারা জোর করে দোকান ঘর তুলতে যান। এতে মহারাজপুর ইউনিয়নের লোকজন বাধা দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পরলে উভয় ইউনিয়নের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সর্জিত হয়ে সকাল ৯ টার দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েন। বণগ্রাম বাজার ও আকদিয়া গ্রাম সহ আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। আতংকে বাজারের অনেক ব্যবসায়ী দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, খবর পেয়ে সকাল ১০ টার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে। ততক্ষণে সংঘর্ষ ব্যাপক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। উভয় পক্ষ তাদের সংঘর্ষ চালিয়ে যায় । দুপুর ২ টার দিকে পুলিশ, সেনা বাহিনী ও র্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।এলাকার পরিবেশ শান্ত। ঘটানস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ ব্যাপারে কোন পক্ষই এখনো অভিযোগ দায়ের করেনি।অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪)