রিপন মারমা, রাঙ্গামাটি : দীর্ঘ দেড় যুগ পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙ্গামাটি পৌরসভা শাখার কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে রাঙ্গামাটি আল আমিন ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রামে মহানগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী (সাবেক এমপি) এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক।

এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও রাঙ্গামাটিু জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম, সাবেক আমীর মাওলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা সেক্রেটারি মো. মনছুরুল হক।

রাঙ্গামাটি পৌরসভা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্য উপজেলা সমুহের আমীর, সাংবাদিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শাহজাহান বলেন, স্বৈরাচার সরকারের সময় আমরা পথে ঘাটে চলতে পারনি। বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জেলে থাকতে হয়েছে। তারা জামায়াতে ইসলামি কে বাংলাদেশ বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছে। আজকে স্বাধীনতার ৫৩বছর পর প্রমাণিত হয়েছে জামায়াত বাংলাদেশ বিরোধী নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ শাসনের মধ্য দিয়ে ভারতের তাবেদারি করেছে। সে কারণেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা ও ডামি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বারবার ক্ষমতার মসনদে বসেছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি৷

বক্তব্যে প্রধান বক্তা শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর এবং এর আগে মোট ২৯টা বছর আমরা শান্তিতে থাকতে পারিনি। আজকে আপনাদের সামনে আমরা কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম শুধু একটি দল নয় এটি একটা ইতিহাস। শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ৫ আগষ্ট দেশবাসী তাদেরকেই নিষিদ্ধ করেছেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি পালান না। কিন্তু ৫ আগষ্ট দিনে দুপুরে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর দ্বীনের রাজনীতি করে৷ দুনিয়ার ক্ষমতার রাজনীতি করেনা। বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় দেখতে অপেক্ষায় আছে। শান্তি চুক্তিকে এসময় তিনি বৈষম্য চুক্তি নামে অভিহিত করেন।

(আরএম/এসপি/নভেম্বর ৩০, ২০২৪)