উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : পাকবাহিনীর শক্তঘাঁটি হিলি শত্রুমুক্ত করার জন্য মুক্তিবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে হিলির তিন দিক থেকে আক্রমণ করা হয়। হিলির পতন হলে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে উত্তর বাংলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে আশংকায় পাকসেনারা মরিয়া হয়ে উঠেছিল। পাকবাহিনী এখানে দূর পাল্লার ভারী কামান ও ট্যাঙ্ক ব্যবহার করেও মুক্তিবাহিনীর অগ্রগতি ঠেকাতে পারেনি। পাকহানাদাররা বেশ কয়েকটি ট্যঅঙ্ক হারাতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে ৮০ জন পাকহানাদার খতম হয়।

রাজশাহীর নবাবগঞ্জ থেকে তিন মাইল দূরে ইসলামপুর ও চাটুইডুবিতে অবস্থিত পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর মুক্তিবাহিনী মর্টার ও মেশিনগান নিয়ে প্রবলভাবে আক্রমণ করে। হানাদার বাহিনী এই যুদ্ধে ভারী মেশিন গান, ৮১ এম.এম. মর্টারের গোলা এবং ২৫ পাউন্ড ওজনের কামানের গোলা ব্যবহার করে। এই যুদ্ধে ১২৫ জন পাক সৈন্য এবং ২৫০ জন রাজাকার নিহত হয় । মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর ১৫টি বাঙ্কার ধ্বংস করে দেয়। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর নায়েক কাসেম মোহর আলী প্রবল বিক্রমের পরিচয় দেন।

মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল রাজশাহীতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ আক্রমণ করে রাজশাহীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার শারদার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

যশোরের মুন্সিগঞ্জে মুক্তিবাহিনী রাজাকার ঘাঁটিতে আক্রমণ করে ৪ জন রাজাকারকে ধরতে সক্ষম হয়। এখানে মুক্তিবাহিনী রাজাকারদের কাছ থেকে ৪টি রাইফেল উদ্ধার করে।

জামায়াত নেতা গোলাম আজম রাওয়ালপিন্ডিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আক্রমণই হলো প্রতিরক্ষার বড় অস্ত্র। যুদ্ধের সময় প্রত্যাঘাত না করলে কোন জাতি টিকে আছে এমন নজির ইতিহাসে নেই।

যুদ্ধ পরিস্থিতি রিপোর্ট: বানপুর সাবসেক্টর
G-3088 27.11.71 Dubli br 4514 M/S 78D/11 blown
up on15 Nov. 71.Ambushed on en
ptl Bagherkhali 4371 M/S 78D/12
on 15 Nov. En cas 6 dead. Own cas
2 GB dead.

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৭, ২০২৪)