বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে চললো পরীক্ষামূলক ট্রেন
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পরীক্ষামূলকভাবে (ট্রায়াল) ট্রেন চললো যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে। দেশের দীর্ঘতম এ রেল সেতুর ওপর দিয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রেনটি ভূঞাপুর অংশের পূর্বপাড় থেকে ছেড়ে সিরাজগঞ্জের পশ্চিমপাড়ে গিয়েছে।
তবে এর আগে গতকাল সোমবার বিকালে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে সেতুর দুই প্রান্ত থেকে ব্রডগেজ লাইনে দুটি ট্রেন চালানো হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ট্রেনের তিনটি বগি নিয়ে একটি ইঞ্জিন সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে ভূঞাপুর অংশের পূর্বপাড় থেকে ছেড়ে সিরাজগঞ্জের পশ্চিম অংশে যায়। ট্রেনটি ১০টা ৪১ মিনিটে পূর্বপাড়ে ফিরে আসে।
সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে অপর একটি ট্রেন একটি ইঞ্জিন ও তিন বগি নিয়ে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে পূর্ব প্রান্তে আসে ও ১০টা ২৯ মিনিটে পশ্চিম প্রান্তের দিকে যাত্রা শুরু করে। প্রথমে ১০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করলেও পরে ৪০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন দুটি চলাচল করে।
নব নির্মিত রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান জানান, আজ পরীক্ষামূলক ট্রেন চললো ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নব নির্মিত রেলওয়ে সেতু দিয়ে। তবে এই সেতু দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করবে ডিসেম্বরে। রেলওয়ে জানুয়ারি মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালাতে পারবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। তবে ট্রেনের পূর্ণ গতি পেতে সময় লাগবে আরও দুই মাস।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায় , ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর ব্যয় তখন ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭ কোটি টাকা। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকায়। যার ১২ হাজার ১৪৯ দশমিক ২ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।
(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০২৪)