রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে কমিউনিস্ট পার্টির এক সমাবেশ নেতারা বলেন, ‘অবিলম্বে হকার, শ্রমিক, অটো রিকশাচালক তথা সাধারণ জনগণের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।’

আজ সোমবার বিকেলে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে ফরিদপুর জেলা কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি আজাদ আবুল কালামের সভাপতিতে এবং কমিউনিস্ট পার্টি সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির‌ সম্পাদক মন্ডলী সদস্য ‌কাজী রুহূল আমিন, ‌কমিউনিস্ট পার্টি‌র‌ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিগত দিনে টাকা সিস্টেম লস এর মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকারের লুটেরা কর্মকর্তাদের মাঝে পাচার হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে দেশকে পিছন দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক স্থিতিশীল করতে হলে সরকার ধারাবাহিক দরকার। ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে শত শত মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মানুষের উপর জুলুম করা হয়েছে। দেশের মানুষ দিনের পরদিন নির্যাতিত হয়েছে।

বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থান একদিনে হয়নি। তার জন্য বছরের পর বছর মাসের পর মাস ‌দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। বক্তারা এ সময় বিগত দিনে কমিউনিস্ট পার্টির বিভিন্ন কার্যক্রম ‌তুলে ধরেন।

বক্তারা বলেন, 'আন্দোলনকে চাঙ্গা করার জন্য অতীতে কমিউনিস্ট পার্টি যে ভূমিকা ‌রেখেছে তা অবশ্য প্রশংসার দাবি রাখে। কোটা ইস্যুতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের রূপ নিয়েছিল। যে কারণে আওয়ামী লীগ সরকারকে ‌ক্ষমতা থেকে নামতে হয়েছে। শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা যে বিজয় পেয়েছি তা ধরে রাখতে হবে।

তারা জানান, 'যদি এরপর কোন সরকার এরপর ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা চালু করতে না পারেন ‌সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তবে, ‌যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনে রোড ম্যাপ ঘোষণা করে একটা একটা নির্বাচনের ‌দিন তারিখ ঘোষণা করতে হবে'।

নেতারা জানান, 'সব সংস্কার আপনারা ‌করতে পারবেন না। আপনারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন'। এছাড়া দেশের, সমস্ত গরিব মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও কৃষকদের কৃষি উপকরণের দাম কমানোর আহবান জানান কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দ।

(আরআর/এসপি/নভেম্বর ২৫, ২০২৪)