সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : সরকারের যুগ্ম সচিব ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন দীর্ঘ প্রায় তিন বছর মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক গবেষণার পর সরকারের কাছে জমা দেয়া উদ্ভাবিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটি বাস্তবায়িত হলে মাত্র সাতদিনের মধ্যেই দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। স্থানীয় কৃষক বা খামারীদের উৎপাদিত দ্রব্যমূল্যসহ মাছ, মাংসের দামে উৎপাদন মূল্য ও লভাংশ সমন্বয় করে খামার, হাট-বাজার থেকে সরকারি পর্যয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম নির্ধানর করা হলেই নিয়ন্ত্রিত হবে দ্রব্যমূল্য। এভাবে উপজেলা থেকে ধাপে থাপে জেলা ও রাজধানী ঢাকায় দ্রব্যমূল্যের দাম সরকারি ভাবে নির্ধারন করে মনিটরিং করা হলেই মাত্র সাত দিনের মধ্যেই সারা দেশের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একই সাথে ফেরি ও সড়কের টোলসহ রেলওয়েত কৃষিপন্য পরিবহন ফ্রি করা হলে দ্রব্যমূল্যের দাম আরো কমে আসবে, ভেঙ্গে দেয়া সম্ভব হবে বাজার সিন্ডিকেট। বান্দরবনের নীলাচল পর্যটন স্পটের আবিস্কারক ও প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ না ধরার মডেল উদ্ভবনের পর ‘স্বপ্নবাজ’ এই সরকারি কর্মকর্তা এবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবন করেছেন।

আজ রবিবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে বাগেরহাট ও মোংলার সাংবাদিকদের সামনে যুগ্ম সচিব ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন তার উদ্ভাবিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, তার উদ্ভাবিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটি তিনি গত ১৪ আগষ্ট তার উর্ধতন কর্মকর্তা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন। মোংলা বন্দর চেয়ারম্যানের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটি গত গত ১৮ আগষ্ট নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এরপর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটি গত ২৯ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠিয়ে দেয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কাজী আবেদ হোসেনকে মন্ত্রণায়ল ডেকে পাঠায়। সেখানে তিনি তার উদ্ভাবিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটি বিস্তারিত তুলে ধরেন। এরপর গত ১৫ আক্টোবর মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়। বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে তার উদ্ভাবিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটি বাস্তবায়ন করলে সরকারের কোন অর্থ ব্যয় হবেনা। প্রয়োজন পড়বেনা অতিরিক্ত কোন জনবলের, লাগবেনা কোর নতুন আইন তৈরী। সরকার তাৎক্ষনিক নির্দেশে এই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটি খুব সহজেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এরজন্য প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র উপজেলা ও জেলা প্রশাসকদের প্রধান করে বাজার, উপজেলা ও জেলা কমিটি করে তিনটি কমিটি গঠনের।

তার উদ্ভাবিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটি এবিষয়ে বিস্তারিত রয়েছে বলেও জানান সরকারের যুগ্ম সচিব ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন।

(এসএস/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০২৪)