ফরিদপুরে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও জেলা যুবলীগ নেতা শামীম গ্রেফতার
রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও জেলা যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান শামীম তালুকদারকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাকে কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শহরের কমলাপুরস্থ নিজ বাড়ি থেকে শামীমকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
গ্রেফতারকৃত শামীম তালুকদার ২০০৫ সালের ৫ মে গঠিত ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহবায়ক ও ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শহর ক্যাম্পাস ও ফরিদপুর স্টেডিয়ামের মাঝের রাস্তায় অবস্থিত একটি রেস্তোরাঁর মালিক।
ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন শামীমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফরিদপুরের তিন সাবেক সাংসদ মো. আব্দুর রহমান, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং একাধিক সাংবাদিকসহ মোট ১২৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় আরো ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে গত ১০ অক্টোবর মামলাটি করেন জনৈক মুজাহিদুল ইসলাম। মেয়ে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে আহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে হামলা ও হত্যাচেষ্টার ওই মামলাটি করেন মুজাহিদুল।
মামলাটির এজাহারে ৯৮ নম্বর আসামি হিসেবে শামীম তালুকদারের নাম রয়েছে।
শামীম তালুকদারকে রবিবার আদালতে পাঠানো হবে জানিয়েছেন ওই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও ফরিদপুর কোতয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাফর ইকবাল।
এদিকে, ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের বিল মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ওই মামলার বাদি মুজাহিদুল ইসলামকে একজন সুপরিচিত জামায়াত নেতা বলে দাবি করে- মামলাটিকে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, হয়রানিমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সারির এক নেতা। সেই সাথে গ্রেফতারকৃত জেলা যুবলীগ নেতা শামীম তালুকদারের মুক্তি এবং মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
(আরআর/এএস/নভেম্বর ২৪, ২০২৪)