কুমিল্লায় ‘যুদ্ধসমাধিতে’ মিলল ২৩ জাপানি সেনার দেহাবশেষ
স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি) থেকে ২৪ জাপানি সৈনিকের সমাধি খননের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ২৩টিতে সৈনিকদের কিছু কঙ্কাল, মাথার খুলি ও দেহাবশেষের আলামত মিলেছে। অপর একটিতে কোনো আলামত মিলেনি।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক বলেন, ১৩ নভেম্বর ওয়ার সিমেট্রিতে খনন কাজ শুরু হয়। প্রতিটি সমাধি কখনো যন্ত্রপাতি, কখনো হাতে সাবধানতার সঙ্গে খনন করতে হয়েছে। তবে একজনের সমাধিতে কিছু পাওয়া যায়নি। খনন ২৪ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। দুই দিন আগে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে এই কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ২৪টি সমাধির মধ্যে ২৩টিতেই সৈনিকদের দেহাবশেষের বিভিন্ন অংশ পাওয়া গেছে। এগুলো ঢাকায় নিয়ে চলে গেছেন জাপানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল। ৮১ বছর পরও সৈনিকদের কিছু কঙ্কাল, মাথার খুলি ও শরীরের বিভিন্ন অংশের বেশ কিছু হাড় পেয়েছি।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে যে সমাধিতে কোনো আলামত মেলেনি ওই সৈনিকের বয়স খুব কম ছিল। ২৩ জনের সমাধিতে যতটুকু দেহাবশেষের মিলেছে আশা করা হচ্ছে, জাপানে নিয়ে গিয়ে ফরেনসিক টিম পরীক্ষাগারে একটি ইতিবাচক ফল পাবেন।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত প্রায় ছয় একর ভূমিতে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি। ১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত বার্মায় ব্রিটিশদের সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ১৩টি দেশের ৭৩৮ সেনাকে এখানে সমাহিত করা হয়।
এর আগে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষ যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়েছিলেন তার স্বজনরা। এতে ৭৩৭ সৈনিকের দেহাবশেষ থেকে যায়। এই যুদ্ধসমাধি ক্ষেত্র তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন।
(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৪, ২০২৪)