‘বিএনপি’র নেতাকর্মীদের হয়রানির চেষ্টা হলে কোন ছাড় হবে না’
একে আজাদ, রাজবাড়ী : বিএনপি বড় দল,সেখানে গ্রুপিং-নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে, তবে ধানের শীষের সাথে কোন গ্রুপিং নেই। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়ে নিজের ভোট না চেয়ে আমাকে হারানোর জন্য নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রার্থী নিজেই কাজ করেছেন। প্রকাশ্যে বলেছেন, আমাকে ভোট না দিলে ভাবীকে (নৌকার প্রার্থী) দিবেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে গোপালপুর হাইস্কুল মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবু’র রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পাংশা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কলিমহর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে রাজনীতি করা সেইসব নেতারা এলাকায় হুংকার দিচ্ছেন। কোন লাভ নেই,কলিমহর ইউনিয়ন বিএনপির লোকজন বোকা নয়,তারা কোন হুংকারে ভয় পায় না। তার প্রমান আজ এই গোপালপুর হাইস্কুল মাঠ। রক্তচুক্ষু উপেক্ষা করে আজ মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা কার সাথে রয়েছে। রাজবাড়ী ২ আসনে যেই ধানের শীষের মনোনয়ন নিয়ে আসবে আমরা ঐক্যবন্ধ হয়ে তাকে বিজয় করাতে কাজ করব। আমার রাজনৈতিক গুরু সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাসিরুল হক সাবু তার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা মাঠে কাজ করছি।
আমাদের কোন নেতাকর্মীদের হয়রানীর চেষ্ঠা করা হলে তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আওয়ামীলীগের যারা সাধারণ নিরীহ কর্মী রয়েছেন আমরা তাদের কিছুই বলব না,তবে যদি কোন প্রকার উস্কানিতে পড়েন বা কোন ষড়যন্ত্র করেন তাহলে কিন্তু বিএনপির নির্যাতিত কর্মীরা ছেড়ে কথা বলবে না। মনে রাখতে হবে আমাদের নেতাকর্মীরা ১৬ টি বছর কোন প্রকার কথা বলতে পারেনি,আপনারা মারধর করেছেন মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা দিয়েছেন,পুকুরের মাছ মেরে নিয়েছেন,গাছ কেটে নিয়ে গেছেন । কোন প্রকার ন্যায় বিচার আমরা পায়নি, তাই কোন প্রকার ষড়যন্ত্র করলে এবার ছাড় দেওয়া হবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি নাসিরুল হক সাবু একজন পরিক্ষিত নেতা তিনি শারীরিক ভাবে কিছুটা অসুস্থ,দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। আগামী দিনে তিনিই হবেন ধানের শীষের কান্ডারী।
৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন’র সভাপতিত্বে ছাত্রদল নেতা মোঃ জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,বিএনপি নেতা মোঃ হুমায়ুন কবির, কলিমহর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইমরান হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা আবু জাফর,রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের নেতা সজীব রাজা, যুবদলের সাবেক সভাপতি সুরুজ হোসেন,কলিমহর ইউনিয়ন সেচ্ছাদলের আহবায়ক মোঃ মনিরুল ইসলাম, যুবদল নেতা মোতাক্কর হোসেন,শিপন মিয়া,বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ, ইউনুস ব্যাপারী, মহন প্রামানিক, আব্বাস আলী,আলী হোসেন,পরিমল বাবু, হেলাল উদ্দিন মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও ইউনিয়ন বিএনপি,যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবকদলের বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকাল থেকে কলিমহর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা গোপালপুর হাইস্কুল মাঠে জমায়েত হতে থাকে।এসময় কর্মী সভাটি জনসভায় রুপান্তরিত হয়। দীর্ঘরাত পর্যন্ত নেতাকর্মীরা সভা সফল করার লক্ষ্যে অপেক্ষায় ছিল তাদের প্রিয় নেতা বিধান বিশ্বাসের কথা শোনার জন্য।
(একে/এএস/নভেম্বর ২৩, ২০২৪)